প্রয়োজনে খালেদাকে বিদেশে পাঠানো হবে : কাদের

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য আবারও প্রয়োজনে বিদেশে পাঠানোর কথা বলেছেন ওবায়দুল কাদের। বলেন, ‘চিকিৎসকরা পরামর্শ দিলে জেল কোড অনুযায়ী ওনাকে বিদেশ পাঠানো হবে।’

শনিবার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে এক পারিবারিক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। মায়ের চেহলামে যোগ দিতে সেখানে যান কাদের। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ওবায়দুল কাদেরেরর মা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মারা যান।

একই দিন সকালে বিএনপি নেত্রীকে এক্সরে করাতে ঢাকার পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাবন্দী খালেদা জিয়াকে গত ২৮ মার্চ খালেদা জিয়াকে অন্য একটি মামলায় আদালতে হাজির করার কথা ছিল। কিন্তু অনিবার্য কারণ দেখিয়ে তাকে আনা হয়নি। আর দুই দিন পর সংবাদ সম্মেলন করে তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়ার দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একই দিন ওবায়দুল কাদের এই প্রস্তাবে সায় দিয়ে বলেন, প্রয়োজনে বিএনপি নেত্রীকে বিদেশে নেয়া হবে।

সেদিনের পর বিএনপি আর তাদের নেত্রীকে বিদেশে নেয়ার বিষয়ে বলছে না। যদিও এ বিষয়ে বিএনপি এরপর আর কিছু বলছে না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী জেল কোড মেনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সেবা দেয়া হবে। অসুস্থতার ধরণ দেখে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এতে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই।’

‘তাঁর (খালেদা জিয়া) সুচিকিৎসার জন্য মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সবকিছু করা হবে।’

খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে দেয়ার বিষয়ে বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদের দাবি নিয়েও কথা বলেন কাদের। বলেন, ‘আদালত তার সাজা দিয়েছে, নিঃশর্ত মুক্তি দেয়ার সুযোগ নেই।’

‘খালেদা জিয়া জেলে বসে গৃহ পরিচারিকা পেয়েছেন, ব্যক্তিগত চিকিৎসক পেয়েছেন, এটি বিরল সুযোগ।’

বিএনপিকে নির্বাচনে নিয়ে আসতে সরকারের বিশেষ কোনো উদ্যোগ থাকবে কি না, এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপিকে নির্বাচনে টেনে আনার কিছু নেই, এটা তাদের অধিকার। নির্বাচনে আসবে কি আসবে না এটা তাদের সিদ্ধান্ত।’

‘আগামী নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে। কোন শর্ত মেনে নেয়ার সুযোগ নেই। সংবিধানে সবকিছু উল্লেখ আছে। সংবিধানই পথ দেখাবে নির্বাচন কীভাবে হবে।’

নোয়াখালীর দুই সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী, মোর্শেদ আলম, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খায়রুল আনম সেলিম, নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র সহিদ উল্যাহ খাঁন সোহেল, শহর আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু, কবিরহাট পৌরসভার মেয়র জহিরুল হক রায়হান, কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন রুমিসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।