প্লাস্টিকের বেল্ট দিয়ে ডোল তৈরিতে দক্ষ জামালপুরের গ্রামীন মহিলারা

গ্রামীন অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার লক্ষ্যে সরকার সারা দেশের ন্যায় জামালপুররে কৃষি ভিত্তিক একের পর এক প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। গ্রামীন যুবক ও যুব মহিলাদের স্বকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ৭টি উপজেলার প্রায় সর্বত্রই প্লাস্টিকের বেল্ট দিয়ে তৈরি করছে শস্যের ডোল। ব্যাপক চাহিদা থাকায় বিক্রি বেড়েছে। ফলে অনেকের আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরে এসেছে।

জানা যায়, জামালপুর সদর উপজেলা কৃষি সর্মৃদ্ধ এলাকা। এ উপজেলার এমন কোন এলাকা নেই গ্রামীন পুরুষ ও মহিলারা পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরে আনার জন্য কৃষি কাজের পাশা পাশি কুটির শিল্পের কাজ করছে। বিসিক থেকে প্রশিক্ষন নিয়ে অনেকে প্লাস্টিকের তৈরি শস্যের ডোল তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে।

সরেজমিনে লক্ষীর চর, রায়েরচর, টেবিরচর, তুলশীরচর, ও শ্রীপুর সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে বেশ কয়েকজন ডোল তৈরির কারিগরের সাথে কথা হয়। তারা বলেন, কোরিয়া, সিঙ্গাপুর থেকে আমাদের দেশে বড় বড় তুলার গাইড আসে। গাইডে বাঁধা থাকে অসংখ্য প্লাস্টিকের বেল্ট। এই বেল্ট গুলো বিক্রি করে দেয়। এ গুলো কিনে এনে শস্যের ডোল ও সিলিং তৈরি করা হচ্ছে। তারা আরো বলেন, প্রতি কেজি বেল্টের দাম পড়ে ৬০ থেকে ৬৫টাকা। বাজারে শস্যের ডোলের চাহিদা থাকায় বিক্রি হচ্ছে দেদারছে।

সরকারের স্বনির্ভর প্রকল্প বিসিকের মাধ্যমে মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলায় ব্যপক ভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে। এসব উপজেলার প্রায় সর্বত্রই প্লাস্টিকের বেল্ট দিয়ে তৈরি হচ্ছে শস্যের ডোল।

মহাদান, ভাটারা,কামরাবাদ, পাররামপুর, মেষ্টা এলাকার প্রায় ৫শতাধিক বেকার যুবক ও যুব মহিলারা এ কাজে সম্পৃক্ত। কথা হয় ডোল শিল্পী আয়শা (৩০), আমিনা (২৫) ও সালাম (২৮) এর সাথে। তারা জানান, ডোল তৈরি ঘরের সিলিং দেয়ার পদ্ধতি বিসিক থেকে প্রশিক্ষন নিয়েছি। প্রশিক্ষন নিয়ে ডোল তৈরি করে বিক্রি করছি। এ সব প্লাস্টিকের ডোল বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে। ডোলের সাইজ দেখে দাম নির্ধারণ করা হয়। ৫০০ থেকে ২হাজার টাকা পর্যন্ত রয়েছে। সরকারের এ প্রকল্পের জন্য গ্রামীন অর্থনীতিতে চাঙ্গা ভাব ফিরে এসেছে।