‘ফরহাদ মজহারের কাছে ব্যাগ আসলো কোথা থেকে?’
পুলিশ দাবি করেছে ফরহাদ মজহারের কাছ থেকে তারা একটি ব্যাগ উদ্ধার করেছে। তাতে জামা, মোবাইল ফোনের চার্জার ছিল। তবে তার স্ত্রী ফরিদা আখতার ও মেয়ে সমতলী হক বলেছেন, ভোরে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় তার কাছে কোনও ব্যাগ ছিল না।
ব্যাগ প্রসঙ্গে তার স্ত্রী ফরিদা আখতার বলেন, ‘ব্যাগ সঙ্গে নিয়েছেন কিনা তা তো জানি না। বাট উনি প্রায়ই একটা ব্যাগ সঙ্গে রাখেন। যার মধ্যে পড়ার জন্য বই ও ওষুধ থাকে। তবে তার কাছে যেমন ব্যাগ দেখা গেছে তেমন ব্যাগ উনি ইউস করেন না। এ ব্যাগ কোথা থেকে আসলো?’
তিনি আরও বলেন, ‘উনি ব্লাড প্রেসারের রোগী। ওষুধ না খেলে অসুস্থ হয়ে পড়েন। আর আমার মনে হচ্ছে উনি ঠিকমত খাননি। সঙ্গে ওষুধ নেননি। ওনাকে দেখে খুব খারাপ লাগছে। আগে এমন দেখিনি।’
ফরহাদ মজহারের মেয়ে বলেন, ‘আপনারা তো বাড়ি থেকে বের হওয়ার ফুটেজ দেখেছেন। তার কাছে তো কোনও ব্যাগ ছিল না। এখন ব্যাগ আসলো কিভাবে?’
সোমবার রাতে র্যাব ৬ নওয়াপাড়া থেকে তাকে উদ্ধার করে। এরপর পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি দিদার আহমেদ বলেন, ‘তাকে সুস্থ-স্বাভাবিক অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। উনার সঙ্গে একটা ব্যাগ আছে। সেই ব্যাগে বাড়তি একটা জামা ও গেঞ্জি আছে। কিছু টাকা-পয়সা আছে। একটা মোবাইল আছে। একটা চার্জার আছে।’
পরে তাকে আদাবর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) হাফিজ আল ফারুকের নেতৃত্বে তাকে যশোর থেকে ঢাকায় আনা হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের একটি দল যশোর থেকে একটি মাইক্রোবাসে (গাড়ি নম্বর- ঢাকা মেট্রো চ ১৩৪১৩১) করে তাকে নিয়ে সকাল পৌনে ৯টার দিকে ঢাকা পৌঁছায়। সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আদাবর থানায় তার স্ত্রী ফরিদা আখতার ও মেয়ে সমতলী হক আছেন।
ফরহাদ মজহারকে উদ্ধারের পর র্যাব ৬-এর সিও খন্দকার রফিকুল ইসলাম সোমবার জানিয়েছিলেন, ‘রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে খুলনায় নেওয়া হচ্ছে।’ অবশ্য রাত ১২টা ৫০ মিনিটে যশোরের অভয়নগর থানার ওসি আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, ফরহাদ মজহার থানা হেফাজতে রয়েছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী তার ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ৩ জুলাই সোমবার ভোররাতে মোহাম্মদপুর লিংক রোডের হক গার্ডেনের নিজ বাসা থেকে বের হন ফরহাদ মজহার। এরপর ভোর ৫টা ২৯ মিনিটে তিনি তার স্ত্রীকে ফোন করে জানান, ‘ফরিদা, ওরা আমাকে নিয়ে যাচ্ছে। ওরা আমাকে মেরে ফেলবে।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন