ফরহাদ মজহার মামলার তদন্ত রিপোর্ট দ্রুতই : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
কবি ও রাজনৈতিক ভাষ্যকার ফরহাদ মজহারের অপহরণ নিয়ে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দ্রুতই প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।বুধবার দুপুরে গাজীপুরের টঙ্গী মডেল থানার নতুন ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান মন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ফরহাদ মজহার কীভাবে খুলনা গেলেন, কী নিয়ে বের হয়েছেন- তার সবই আমরা খতিয়ে দেখছি।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের পুলিশ বাহিনীকে ধন্যবাদ দেয়া উচিত। কারণ তারা কবি ও সাহিত্যিক ফরহাদ মজহারকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। পুলিশের গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে তার অবস্থান পর্যবেক্ষণ করে উদ্ধার শেষে তাকে তার পরিবারের কাছে তুলে দেয়া হয়েছে। ’
গত সোমবার ভোরে রাজধানীর শ্যামলীর বাসভবন থেকে বের হয়ে ফরহাদ মজহার অপহরণের শিকার হন অভিযোগে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন তার স্ত্রী ফরিদা আক্তার। এরপর পুলিশ অভিযানে নেমে সোমবার রাতেই খুলনা থেকে ঢাকায় ফেরার পথে একটি বাস থেকে উদ্ধার করে তাকে।
মঙ্গলবার ঢাকায় ফেরার পর ফরহাদ গোয়েন্দা পুলিশকে জানান, তিনি ওষুধ কিনতে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। এরপর তাকে জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়া হয়। পরে চোখ বেঁধে দেয় অপহরণকারীরা। পরে আদালতে গিয়ে জবানবন্দি দেন তিনি।
‘অপহরণ’ এর শিকার হওয়ার পর মোবাইল ফোনে স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছিলেন ফরহাদ। আর এই মোবাইল ফোন ট্রেস করে ফরহাদ মজহারের অবস্থান শনাক্ত করে পুলিশ। এই কথা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে (মজহারের নিখোঁজ) একটি মামলা হয়েছে। ইতিমধ্যে তিনি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলার তদন্ত রিপোর্ট দ্রুতই প্রকাশ করা হবে।’
আরেক প্রশ্নে জবাবে মন্ত্রী সোমবার মাল্টি ফ্যাবস লিমিটেড কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণের ঘটনায় কারা দায়ী সেটি তদন্ত করা দেখা হচ্ছে বলে জানান।
সোমবার রাতে এই কারখানাটির বয়লার বিস্ফোরণে অন্তত ১৩ জন শ্রমিক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও বেশ কিছু শ্রমিক। এই ঘটনায় পুলিশ মামলা করলেও তাতে কারখানা মালিকের নাম নেই। আবার তারা যাদেরকে আসামি করেছে, তাদের জন্য কয়েকজন নিহত শ্রমিকও রয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘শিল্প-কারখানায় বয়লার স্থাপনের একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে। এগুলো তদারকি করার জন্য বয়লার পরিদর্শকও রয়েছেন। বয়লার স্থাপনের পর সেটির সক্ষমতা রয়েছে কিনা কিছুদিন পরপর তা যাচাই করতে হয়। গাজীপুরে বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত শেষে বলা যাবে এতে কারো কোন গাফলতি ছিল কি না।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মালিকসহ যাদের দোষ প্রমাণিত হবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা জানতে চাইব, যাদের ওপর দায়িত্ব ছিল বয়লার চেক করার তা তারা ঠিকমতো করেছে কি না। যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ না হলে এ ধরনের বয়লার বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।’
এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান, জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদসহ পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এর আগে মন্ত্রী ফিতা কেটে ও পায়রা উড়িয়ে টঙ্গী মডেল থানার নতুন ভবন উদ্বোধন করেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন