ফরিদপুরে পাঁচ দিনের ব্যবধানে দুই বাড়ীতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, আতংক

ফরিদপুর সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নে ৫ দিনের ব্যবধানে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতিকালে ডাকাত দল দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ আনুমানিক ১০-১২ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দিবাগত রাত ২ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত ডাকাত দল এ ডাকাতির ঘটনা ঘটায়। ইউনিয়নের ভাবুকদিয়া গ্রামের বাসিন্দা সাবেক ইউপি সদস্য বাবলু পালের ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকে ২০/২২ জনের একদল ডাকাত। এরপর ডাকাত দলটি বাড়ীতে আরো দুইটি ঘরে হানা দেয়। তারা একই কায়দায় ওই বাড়ীর তিনটি ঘরে ঢুকে মালামাল লুট করে।
ডাকাতরা কাপড়ের মুখোশ এবং কালি মুখে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বাড়ীর আলমারি, লেপকাঁথা রাখা বক্স ভেঙে নগদ প্রায় ৬৪ হাজার টাকা, ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, রুপালঙ্কার ১২ ভরি, ৪ টি মোবাইল ফোন সহ ১০-১২ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। মালামাল লুট করতে বাধা দেওয়ায় ডাকাত দল পাল বাড়ীর ছোট বউ ইভা পাল ও তার ননদ বন্যা পালকে মারধর করে।
এর আগে, একই ইউনিয়নের গত রোববার দিবাগত রাত আনুমানিক দের টার দিকে পরমান্দপুর দোপপাড়ার বাসিন্দা আকতার মোল্লার বাড়ীতে গ্রিল ভেঙে ঘরে ঢুকে একদল সশস্ত্র ডাকাতদল ডাকাতি করে। ডাকাতদের বাধা দিতে গেলে ডাকাতের ছুরি আঘাতে গৃহকর্তা আকতার মোল্লা (৪৫) আহত হন। পরিবার সূত্রে জানা যায়, ঐদিন রবিবার সন্ধ্যায় পরমান্দপুর হাট থেকে আকতার মোল্লা গরু ও ছাগল বিক্রি করে ২ লক্ষ ৬ হাজার টাকা বাড়ীতে রাখে। এই টাকা ডাকাত দল লুট করে নিয়ে যায়।
পুলিশের তদন্ত টিম নিয়ে পৃথকভাবে দুইটি ডাকাতির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ফরিদপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) শৈলন চাকমা এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সালাউদ্দিন।
দুইটি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কোতয়ালী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসানুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় পৃথকভাবে দুইটি ডাকাতি মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ডাকাত দলের একটি জামা ও একটি ছুড়ির আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।
ডাকাতদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি। ডাকাতদের আটক করতে তাদের একাধিক দল সদর উপজেলার বিভিন্নস্থানে অভিযান শুরু করেছে বলে জানান ওসি।
এ ঘটনায় এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।