ফারাও রাণী’র মূর্তি উদ্ধার, খাঁজে খাঁজে স্বর্ণ!
মিশরের সাক্কারা পিরামিডের ছায়ায় খননকার্য চালাচ্ছেন পুরাতত্ত্ববিদরা। সেখানে মিলেছে এক মূর্তির মাথা।
ধারণা করা হচ্ছে, এটা ৪ হাজার বছরের পুরনো এক মূর্তির ভাঙা অংশ। শুধু তাই নয়, এটা সিক্সথ ডায়নেস্টির রানি আনখেনেসপেপি দ্বিতীয় এর মূর্তি ছিল।
মিশরের গিজার গ্রেট পিরামিড থেকে ৮ মাইল দূরেই এই সাক্কারা পিরামিড। আনখেনেসপেপির সমাধিস্থলে বেশ কয়েকটি আবিষ্কার ঘটিয়ে ফেলেছেন ফ্রেঞ্চ এবং সুইস পুরাতত্ত্ববিদদের একটি দর।
মিশরের মিনিস্ট্রি অব অ্যান্টিকুইটিস এক বিবৃতিতে জানায়, খননকার্য পরিচালক দলের নেতা প্রফেসর ফিলিপ কলোম্বার্ট রানির পিরামিডে পূর্বের একটি জায়গা থেকে কাঠের তৈরি মূর্তির মাথাটি খুঁজে পাওয়া গেছে। এই জায়গাতেই দলটি এ মাসেই একটি স্মারকস্তম্ভ এবং ছোট পিরামিডের নকশা খুঁজে পেয়েছে। এগুলো সমাধিস্থলের অংশ বলেই মনে করা হচ্ছে।
সুপ্রিম কাউন্সিল অব অ্যান্টিকুইটিস এর সেক্রেটারি জেনারেল মোস্তফা ওয়াজিরি বলেন, আরো অনেক রহস্যভেদের দারুণ এক স্থান এটি। তাই আরো বেশি খননকার্য চালানো হবে।
ঠিক দুই সপ্তাহ আগেই কলোম্বার্টের দল ৪ হাজার ৩০০ বছরের পুরনো একটি স্মারস্তম্ভের অর্ধেকটা খুঁজে পান। এটাই প্রাচীন সময়ের খুঁজে পাওয়া কোনো স্মৃতিস্তম্ভের সর্ববৃহৎ সংস্করণ। এর খাঁজে খাঁজে ছিল তামা বা স্বর্ণ। স্তম্ভটি ১৬ ফুট লম্বা।
মিশরের প্রাচীন সাম্রাজ্যের রহস্য উন্মোচনের জন্যে সাক্কারা খনন করা হচ্ছে বিগত ৫০ বছর ধরে। পুরাতত্ত্ববিদরা ১৯৮৭ সাল থেকে এ কাজ করে যাচ্ছেন। পেপি প্রথম এর পিরামিডও খননের প্রস্তুতি চলছে।
আনখেনেসপেপি দ্বিতীয় হলেন পেপি প্রথম এর স্ত্রী। তিনি পেটি দ্বিতীয় এর মা। সিক্সথ ডায়নেস্টির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রানিদের মধ্যে একজন আনখেনেসপেপি। স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি তার ছেলে মেরেনরেকে বিয়ে করেন। ছেলের ঔরশেই ভবিষ্যত রাজা পেপি দ্বিতীয় এর জন্ম হয়। পেপি দ্বিতীয় এর বয়স যখন সবে ৬ বছর, তখন মিশরের সবচেয়ে প্রভাবশালী রানি ছিলেন আনখেনেসপেপি।
এ কারণেই হয়তো তার পিরামিডের আকার সবচেয়ে বড়। কোনো রানির সম্মানে হয়তো এটাই প্রথম সমাধিস্থল হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছিল।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন