ফিরে এসে অপহরণ নিয়ে যা বললেন আ. লীগ নেতা
রাজধানীর লালমাটিয়ায় থেকে অপহরণের ১১ ঘণ্টার মাথায় কুমিল্লার তিতাস উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা পারভেজ হোসেন সরকারকে ছেড়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তবে একটি সাদা স্ট্যাম্প পেপারে তার ইংরেজি ও বাংলায় স্বাক্ষর নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি শঙ্কিত বলে জানান।
শনিবার দুপুরে লালমাটিয়ার সি ব্লকের বাসায় সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন পারভেজ।
তিনি বলেন, ‘আমাকে মারধর করা হয়নি, তবে অজ্ঞান করা হয়েছিল। অপহরণকারীরা দুই সেট সাদা স্ট্যাম্পে ইংরেজি ও বাংলায় সই নিয়েছে। তবে কেন তারা এটা করলো তা আমি বুঝতেছি না। এ ঘটনায় আমি আতঙ্কিত ও শঙ্কিত।’
‘আমাকে সহযোগিতা করায় আমি প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও দেশের গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানাই’-যোগ করেন তিনি।
অপহরণের ঘটনার বিষয়ে তিনি আরও বলেন, শুক্রবার নামাজ পড়ে বাসায় ঢোকার সময় একজন আমাকে সালাম দেয়, আরেকজন পেছন থেকে এসে আমাকে টেনে গাড়িতে তোলে এবং মুখোশ পরায়। মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে নাকে একটা রুমাল ধরে এরপর আমার আর কিছু মনে নেই।
আমার যখন জ্ঞান ফিরে আসে তখন তারা আমাকে গাড়ির ভেতরে বসেই দু’টি সাদা স্ট্যাম্পে ইংরেজি ও বাংলায় দু’টি সই নেয়। তবে কেন সই নিয়েছে আমি বুঝতেছি না। হয়তো তারা আমাকে কোনো চাপে রাখতে এটি করেছে। সই নেয়ার পর আমাকে কাঞ্চন ব্রিজের ওখানে নামিয়ে দেয়। এরপর আমি বাসায় ফোন দেই, তারা গিয়ে ৩০০ ফিট এলাকা থেকে আমাকে নিয়ে আসে বলে জানান পারভেজ।
অপহরণকারীদের উদ্দেশ্য কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কিছুই বুঝতেছি না। আমার সঙ্গে কারও ব্যবসায়িক বিরোধ নেই। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে, তারাই বিষয়টি বের করুক।
এর আগে শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর লালমাটিয়ায় জুমার নামাজ শেষে বাসায় ফেরার সময় কে বা কারা তাকে অপহরণ করে। এর পরপরই ঘটনার তদন্ত করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। এ ঘটনার ১১ ঘণ্টা পর শুক্রবার রাত সোয়া ১২টায় রাজধানীর পূর্বাচল (৩০০ ফিট রোড) এলাকায় তাকে ফেলে যায় অপহরণকারীরা। সেখান থেকে তিনি তার পরিবারকে ফোন দেন। পরবর্তীতে তার পরিবার ও পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন