ফিল্ড হাসপাতালের কথা ভাবছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
দেশে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিতে শঙ্কিত সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। দেশের জেলা-উপজেলায় চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে ভাবা হচ্ছে বিকল্প নানা উপায়। করোনার ভয়াবহ সংক্রমণ ও মৃত্যু ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপনের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। চলমান আশঙ্কাজনক পরিস্থিতিতে ফিল্ড হাসপাতালের করার কথা ভাবছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। পাশাপাশি করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের শয্যা বাড়ানো ও জনবল পুনর্বন্টন নেওয়া হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের অভিমত, করোনা রোগী যে হারে বাড়ছে তাতে এই বিপুলসংখ্যক রোগীর চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হলে কমপক্ষে এক হাজার শয্যার ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপন জরুরি। সেখানে রোগীরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাবেন এবং আইসোলেশনের ব্যবস্থাও থাকবে। তবে ফিল্ড হাসপাতালে অবশ্যই অক্সিজেনের ব্যবস্থা থাকতে হবে। এই হাসপাতাল স্থাপন করতে হবে জনবহুল এলাকায়। যাতে বিপুলসংখ্যক রোগী সেখানে আসতে পারে। মুমূর্ষু রোগীদের সেখান থেকে হাসপাতালে পাঠানো যেতে পারে।
এ বিষয়ে বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত ভার্চুয়াল বুলেটিনে অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, আমাদের যেসব হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, সেই হাসপাতালগুলোতে কীভাবে শয্যার সংখ্যা বাড়ানো যায়, জনবল কীভাবে পুনঃবণ্টন করা যায়, আমরা সেদিকে মনোযোগ দিয়েছি। এর বাইরে ফিল্ড হাসপাতাল করা যায় কি না, সে বিষয়টি আমরা যাচাই-বাছাই করছি। প্রয়োজন হলে ফিল্ড হাসপাতাল করব।
দেশে করোনা আক্রান্ত রোগীদের অক্সিজেন স্বল্পতা রয়েছে কি না- জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই মুখপাত্র বলেন, স্বাভাবিক সময়ে বাংলাদেশে ৫০ থেকে ৭০ মেট্রিক টন অক্সিজেনের চাহিদা থাকে। করোনাকালে সেটি আড়াই থেকে তিন গুণ বেড়েছে।
রোগীর সংখ্যা যদি এভাবে বাড়তে থাকে তাহলে সেটি সামাল দেওয়া চ্যালেঞ্জিং হবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন ডা. নাজমুল।
দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যু সংক্রমণের হার ভয়াল রূপ ধারণ করেছে। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে শনাক্তের হার বেড়েছে ৯ শতাংশ। মাত্র চার সপ্তাহ আগেও এই হার ছিল ১৩ শতাংশ। বর্তমানে ৩১.৪৬ শতাংশ।
সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বমুখী হার দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা অসম্ভব হয়ে পড়বে-এমন মন্তব্য বিশেষজ্ঞদের। তারা বলেন, দেরিতে হাসপাতালে আনায় করোনা রোগীর মৃত্যু বাড়ছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন