ফরিদপুর: অর্ধশতাধিক বোতল ফেনিসিডিলসহ ট্রাফিক পুলিশের এক পরিদর্শককে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা।

মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে ফরিদপুরের মধুখালী রেলগেট এলাকা থেকে ফেনসিডিলসহ ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে আটক করে এলাকাবাসী।

আটক পুলিশ কর্মকর্তার নাম শেখ আজম (৩৪)। তিনি ট্রাফিক পরিদর্শক হিসেবে বর্তমানে ঝিনাইদহে কর্মরত রয়েছেন। তার বাড়ি নড়াইল জেলার পাঁচুরিয়া গ্রামে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা শেখ আজম মোটরসাইকেলে ফরিদপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মধুখালী রেলগেট এলাকায় পৌঁছালে একব্যক্তির সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগায় চালক ভারসাম্য হারিয়ে মোটরসাইকেলটি নিয়ে পড়ে যান। এ সময় ওই মোটরসাইকেলের টুলবক্স ভেঙে ৩৯ বোতল ফেনসিডিল সড়কের ওপর ছড়িয়ে পড়লে ওই পুলিশ কর্মকর্তা ও মোটরসাইকেল চালক পালানোর চেষ্টা করেন।

এক পর্যায়ে মোটরসাইকেল চালক পালিয়ে গেলেও শেখ আজমে ফেনসিডিলসহ আটক করে মধুখালী থানায় সোপর্দ করে স্থানীয়রা। পুলিশ ওই মোটরসাইকেল তল্লাশি করে ট্যাংকের ভেতর বিশেষ কৌশলে রাখা অবস্থায় আরো ৪৩ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে।

মধুখালী থানা পুলিশ জানায়, ট্রাফিক পরিদর্শক শেখ আজম দাবি করেছে তার বর্তমান বাড়ি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ভাটিয়াপাড়ায়। তিনি বাড়ি যাওয়ার পথে অপরিচিত ওই মোটরসাইকেল চালকের কাছে ‘লিফট’ নিচ্ছিলেন। ফেনসিডিলের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।

মধুখালী থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান বলেন, খোঁজ নিয়ে জেনেছি শেখ আজম ঝিনাইদহ ট্রাফিকের পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে, তাদের পরামর্শ মতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।