ফেরাউনের কিছু বংশধর বাংলাদেশে আছে, মেপে তরমুজ বিক্রি করে : ওমর সানী
হজরত মুসা (আ.) যুগের মিসরের অত্যাচারী শাসক ফেরাউনের সঙ্গে দেশের অসাদু তরমুজ ব্যবসায়ীদের তুলনা করেছেন ওমর সানী। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ ঝেড়ে ঢাকাই ছবির জনপ্রিয় এ অভিনেতা বলেছেন, ফেরাউনের কিছু বংশধর বাংলাদেশ এখনো আছে।
গত কয়েক বছর ধরেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে। যা নিয়ে ক্রেতারা বিরক্ত। কারণ এতে একটি তরমুজের দাম স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি পড়ে যায়।
এ নিয়ে গণমাধ্যমে রিপোর্ট প্রকাশের পর দেশজুড়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা হয়। বিষয়টি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে।
কিন্তু চলতি রমজান মাসে সেই একই কায়দায় গ্রীষ্মকালীন এ রসালো ফলটি কেজি দরে বিক্রি করছেন অনেকে। ফলে এবারো স্বল্প এবং নিম্ন আয়ের মানুষদের সামর্থ্যের বাইরে চলে গেছে তরমুজ।
গরম ও কাঠ ফাঁটা রোদে রোজা রেখে অনেক রোজাদাররা ইফতারের মেন্যুতে তরমুজ রাখতে পারছেন না, তৃপ্ত হতে পারছেন না।
কেজি দরে তরমুজ বিক্রি নিয়ে ক্ষুব্ধ ওমর সানী।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে ‘কুলি’ খ্যাত এ নায়ক লেখেন, ‘ফেরাউনের প্রথম ব্যবসা ছিলো তরমুজের ব্যবসা। ফেরাউন তরমুজ পিস হিসেবে কিনে এনে দাঁড়ি-পাল্লায় মেপে বিক্রি করতেন। মেপে অনেক দামে বিক্রি করার কারণে, সেই সময় সাধারণ মানুষ তরমুজ কিনে খেতে পারতেন না। আজ থেকে তিন হাজার বছর আগে ফেরাউন ঠিকই মারা গিয়েছে। কিন্তু ফেরাউনের কিছু বংশধর বাংলাদেশ এখনো আছে। তারা রমজান আসলে সকল ধরণের পণ্যসামগ্রীর দাম বাড়িয়ে দেয়। আল্লাহ এদের হেদায়েত দান করুন।’
এভাবে তরমুজ না কেনার প্রতিজ্ঞা করেছেন জানিয়ে তিনি আরও লেখেন, ‘আমরা কেজি দরে তরমুজ কিনব না, আমি প্রতিজ্ঞা করেছি। আপনি?’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন