ফেসবুকে পরিচয় : প্রেমের টানে মালয়েশীয় তরুণী টাঙ্গাইলে
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয়। ছয় মাস ধরে কথা বলতে বলতে প্রেম। সেই প্রেমের টানে এক তরুণীর এক মাস ধরে বাংলাদেশে আসার চেষ্টা। অবশেষে এক মাসের ভ্রমণ ভিসা নিয়ে মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশে চলে আসেন সেই তরুণী।
টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কলেজপড়ুয়া মনিরুল ইসলাম ভালোবাসার মানুষটিকে স্বাগত জানাতে মা-বাবা ও বোনদের নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে হাজির হন হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। আজ শুক্রবার ভোরে মালয়েশিয়ার বিমানটি অবতরণ করে। পরে বেলা ১১টার দিকে সবাই মিলে সখীপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কলেজ মোড়ের বাসায় পৌঁছান তাঁরা।
ওই তরুণীর নাম জুলিজা (২২)। বাবার নাম কামিস। ভাঙা ভাঙা ইংরেজিতে জুলিজা জানান, তিনি পড়াশোনা শেষ করে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে বাবার বেকারির ব্যবসা পরিচালনা করেন। তিনি বলেন, ‘মনিরুলের কাছে এ দেশের প্রকৃতি সম্পর্কে জেনেছেন। বাংলাদেশ ও মনিরুলকে দারুণ পছন্দ হয়েছে। আমি খুব খুশি।’
মনিরুলের বাবা ইমান আলী মোটর মেকানিক। ইমান আলী জানান, আজ শুক্রবার রাতে ছেলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে ওই মেয়ের বিয়ে দেওয়া হবে। মনিরুলের মা মনোয়ারা বেগমও জুলিজাকে পেয়ে খুশি।
মনিরুল ২০১৫ সালে স্থানীয় একটি উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করে বাড়ির পাশের কলেজে ভর্তি হন। ২০১৮ সালে মানবিক বিভাগ থেকে তিনি এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা। মনিরুল বলেন, জুলিজা তাঁকে মালয়েশিয়ায় নিয়ে যাবে বলে কথা দিয়েছে।
এদিকে মালয়েশিয়া থেকে প্রেমের টানে তরুণী চলে আসার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে আজ দিনভর মনিরুলের বাড়িতে বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ আসছে।
সখীপুরে বিয়ে নিবন্ধনকারী (কাজি) শফিউল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। আজ কাবিন হবে বলে ছেলের পরিবার তাঁকে জানিয়েছে। ছেলেমেয়ের বয়স ঠিক থাকলে ও দুই পক্ষের সম্মতি নিয়ে বিধি মোতাবেক বিয়ে নিবন্ধন করা হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন