ফেসবুকে প্রেম বিয়ের পর খুন

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পরিচয়। এরপর প্রেম ও বিয়ে। বিয়ের কিছুদিন পরই কনের মৃত্যু। এ ঘটনা পশ্চিমবঙ্গের ‍উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের। মৃত গৃহবধূর নাম দিশা রায় দেবনাথ (২৬)। দিশার পরিবারের অভিযোগ, তাকে যৌতুকের জন্য খুন করেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। অপরদিকে দিশার স্বামী আনন্দ রায়ের পরিবারের দাবি, দিশা আত্মহত্যা করেছে।

গত বৃহস্পতিবারের এ ঘটনায় রায়গঞ্জ থানায় খুনের মামলা দায়ের করেছে দিশার পর। ঘটনার পর থেকে পলাতক আছেন আনন্দ রায় ও তার পরিবারের সদস্যরা।

রায়গঞ্জ থানা পুলিশের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতেন আনন্দ রায়। কিন্তু ফেসবুকে পুলিশের স্থায়ী কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে দিশার সঙ্গে পরিচয় হয় আনন্দ রায়ের। এরপর বাড়তে থাকে ঘনিষ্ঠতা, অতঃপর বিয়ে। ২০১৬ সালের ৩০ জানুয়ারি তারা দু’জনে সেখানকার এক মন্দিরে বিয়ে করেন। দুই পরিবারই মেনে নেয় তাদের বিয়ে। বিয়ের পর আনন্দের আসল পেশার কথা জানতে পারেন দিশা। কিন্তু তিনি মেনে নিতে বাধ্য হন।

দিশার পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে আনন্দ যৌতুকের জন্য নির্যাতন শুরু করেন দিশাকে। আনন্দের দাবি মতো তাকে নগদ এক লাখ টাকা ও সোনার অলঙ্কার উপহার দেয়া হয়। কিন্তু তাতেও মন ভরেনি আনন্দের। আরও টাকার জন্য তিনি চাপ দিতে থাকেন দিশাকে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে আনন্দ তার শ্বশুরবাড়িতে টেলিফোন করে জানান, দিশা হঠাৎ আত্মহত্যা করেছেন। মেয়ের মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে মানতে নারাজ দিশার পরিবার।

রায়গঞ্জ থানায় মামলা করেছেন দিশার পরিবার। পুলিশ ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। রায়গঞ্জ পুলিশ সুপার শ্যাম সিং ভারতের গণমাধ্যমকে বলেছেন, কেউ আমার থানার কর্মী পরিচয় দিলে সেটা তো আমার জানার কথা নয়। তবে স্বেচ্ছাসেবকের কাজ করার জন্য পুলিশ ওই অভিযুক্তকে আলাদা কোনও সুবিধা দেবে না। অভিযোগ অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে তদন্ত করা হবে।