ফেসবুকে যে ৫টি বিষয় শেয়ার করবেন না
সুমনের ফেসবুকের পাসওয়ার্ড ছিল তার জন্ম তারিখ। নিজের প্রোফাইলে দেয়া সেই জন্ম তারিখ ছিল ‘পাবলিক’। যে কেউ তার প্রোফাইলে গিয়ে সহজেই জন্ম তারিখ দেখতে পেতেন।
হ্যাকিংয়ের শিকার হয়ে হারাতে হলো সুমনের ফেসবুক। আপনিও কী এমন কোন হ্যাকিং এর শিকার হয়েছেন?
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে আমাদের নিজেদের, পরিবারের বা বন্ধুদের সব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, ছবি খোলামেলা ভাবে পোস্ট করা একদমই উচিত নয়। কারণ এর মাধ্যমে হারাতে পারেন আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট।
জেনে নিন অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তায় ফেসবুকে যে ৫টি বিষয় শেয়ার করবেন না –
১. ফোন নাম্বার: ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খুলতে প্রয়োজন হয় ফোন নাম্বার। এই নাম্বার হ্যাকার যদি কোন ভাবে জানতে পারে তাহলেই বিপদ। এ জন্য ফেসবুক প্রোফাইলে ফোন নাম্বার এর প্রাইভেসি ‘হাইড’ করে রাখুন।
২. জন্ম তারিখ: ফেসবুকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা পেতে ভালো লাগে সবারই। তাই বলে জন্ম তারিখের সব তথ্য ‘পাবলিক’ করে রাখবেন! এই জন্ম তারিখের মাধ্যমে আপনি হ্যাকিং এর শিকার হতে পারেন। ফেসবুকে জন্ম তারিখ যদি সবাইকে দেখানোর ইচ্ছা থাকে তকে তারিখ ‘পাবলিক’ রেখে সাল ‘হাইড করে রাখতে পারেন।
৩. পরিকল্পনা: কয়েকদিন পরেই বড় কোন অনুষ্ঠান। কিংবা ঘুরতে যাবেন কোথাও। এমন তথ্য ফেসবুকে শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ এই তথ্য কাজে লাগিয়ে হ্যাকার বা সাইবার অপরাধীরা অ্যাকাউন্ট হ্যাকিংসহ চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, অপহরণের মতো ঘটনাও ঘটাতে পারে।
৪. ছবি পোস্ট: পরিবারের সদস্যদের ছবি ফেসবুকে দেওয়ার ক্ষেত্রে একটু সংযত হোন। কারণ আপনার দেওয়া এই ছবিগুলো চলে যেতে পারে নানা রকম ওয়েবসাইটে। বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজেও ব্যবহৃত হতে পারে। তাই সাবধান হোন এখনই।
৫. লোকেশন শেয়ার: কোন প্রোফাইল হ্যাকিং এর আগে হ্যাকররা ব্যবহারকারীর গতিবিধি লক্ষ্য করতে থাকেন। এর অন্যতম মাধ্যম হলো ফেসবুকে চেক ইন বা লোকেশন শেয়ার। হ্যাকাররা যে কোনও সময় এই তথ্য কাজে লাগিয়ে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই বা অপহরণের মতো কোনও অঘটন ঘটাতেই পারে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন