ফ্যামিলি কার্ডে স্বল্পমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য যে দামে
দেশজুড়ে স্বল্পমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিতরণ শুরু হয়েছে রোববার থেকে। এটি টিসিবির ‘ফ্যামিলি কার্ড’ কর্মসূচি।
এক কোটি পরিবার এই কার্ডের মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে পণ্যসামগ্রী পাবেন।
প্রতি কার্ডের বিপরীতে দেওয়া হবে সয়াবিন তেল, চিনি ও মসুর ডাল। রোজায় দেওয়া হবে ছোলা। কর্মসূচির আওতায় রবিবার থেকে নির্দিষ্ট দিনে ও স্থানে প্রথম এবং রোজার শুরুতে দ্বিতীয় দফা পণ্য দেওয়া হবে।
সংশ্লিষ্ট উপকারভোগী তার ইউনিয়ন বা উপজেলার টিসিবির ডিলারের কাছ থেকে কার্ড দেখিয়ে পণ্য গ্রহণ করতে পারবেন। আর ডিলাররা সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের অফিস থেকে বিতরণের লক্ষ্যে পণ্য নিয়ে আসবেন।
টিসিবির সূত্রে পাওয়া গেছে এসব তথ্য।
জানা যায়, ২০ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রথমপর্বে একজন ফ্যামিলি কার্ডধারী পাবেন ২ লিটার সয়াবিন তেল, প্রতি লিটারের দাম পড়বে ১১০ টাকা। এছাড়া দুই কেজি চিনি ও দুই কেজি মসুর ডালও দেওয়া হবে। প্রতি কেজি চিনির মূল্য হবে ৫৫ টাকা ও মসুর ডাল ৬৫ টাকা।
এছাড়া ৩ এপ্রিল অর্থাৎ পহেলা রমজান থেকে দ্বিতীয় দফায় সাশ্রয়ী মূল্যে উল্লিখিত তিন পণ্যের সঙ্গে আরও দুই কেজি ছোলা যুক্ত করে দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে ছোলার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে কেজিপ্রতি ৫০ টাকা।
জানা যায়, যারা সরকারের ২৩ ধরনের ভাতার সুবিধা পাচ্ছেন না, কেবল তাদেরই টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারী করা হয়েছে। উপকারভোগী নির্ধারণের ক্ষেত্রে স্থানীয় জনসংখ্যা, দারিদ্র্যের সূচক বিবেচনা করা হয়েছে। এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জেলা প্রশাসন সম্পৃক্ত থাকছেন।
কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলদেশ (ক্যাব) সভাপতি গোলাম হোসেন বলেন, টিসিবি এক কোটি পরিবারকে সাশ্রয়ীমূল্যে পণ্য দেবে। এর অর্থ উপকৃত হবে ৫ কোটি মানুষ। অর্থাৎ প্রতি পরিবারে ৫ জন থাকছে। এখন প্রশ্ন-স্থানীয় বাজার থেকে কিনে এ পণ্য বিতরণ করলে সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নতি হবে না। যদি দেশের বাইরের উৎস থেকে এনে পণ্য দেওয়া হয় তবে সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটবে। বাজারে মূল্যের ওপর প্রভাব পড়বে। তবে এটি ভালো উদ্যোগ। এ কার্যক্রম আরও জোরদার করতে পারলে ভালো হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন