ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনা ও তার আদর্শের রাজীনিতিকে চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া হোক

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ও আহদের স্মরণে ও বিচারের দাবিতে বিশাল সমাবেশ করেছে প্রবাসী চত্তর সংলগ্ন মাঠে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস বিশ্বনাথ উপজেলা শাখ।
বৃহস্পতিবার (০৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস বিশ্বনাথ উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আব্দুল মতিন ও সাধারণ সম্পাদক এম আশরাফুল হক’র পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে আল্লামা মামুনুল হক তার বক্তব্যে বলেন, ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী সরকার অবৈধভাবে দেশ শাসন করেছে।

শেখ হাসিনা বীবাজন ও প্রতিহিংসার রাজনীতি করেছিলো, সেই রাজনীতিকে বঙ্গোপোসাগরে বাসাইয়া দেওয়া হয়েছে। শেখ হাসিনা ও তার আদর্শের রাজীনিতিকে চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া হোক। ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং ছাত্র জনতার গণঅভ্যূত্থানে মাধ্যমে দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে অবস্থান করছেন। শেখ হাসিনা ভারতে বসে বিভিন্নভাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও জনগনকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। কোনো ষড়যন্ত্র সফল হবে না ইনশাল্লাহ।

তিনি ছাত্র আন্দোলনে সকল নিহতদের মাগফেরাত কামনা করে সুষ্টু বিচার ও তাদের পরিবারের ক্ষতিপূরণ ও আহতদের সুস্থতা কামনা করেন। তিনি আরো বলেন, পুলিশের নামধারী আওয়ামীধারা স্বরাষ্টমন্ত্রীকে বলেছিল গুলি করলে স্যার একটাই মরে বাকীরা যায় না। এটাই ছিল শেখ হাসিনার পতনের মুল জায়গা, এদেশের মানুষের পিট দেওয়ালে লেগেছিল। মানুষরা বুঝেছিল রক্তের ¯্রােত ছাড়া শেখ হাসিনাকে পতন করা যাবে না।

আমি সেলুট জানাই বাংলাদেশের ঐ সমস্ত মাদেরকে যারা তাদের সন্তানকে বলেছিল হাজার মায়ের বুক যখন কালি হচ্চে তোমরা মাঠে নাম এবং পেশিবাদের মোকাবেলা কর তবুও দেশটাকে মুক্ত ও স্বাধীন করে ছাড়ো। এভাবে মায়েরা -বাবারা দেশের জন্য তাদের সন্তানকে উৎসর্গ করেছেন।

তিনি বলেন, ২০২৪ সালে এশে বাংলাদেশ নতুনভাবে স্বাধীনতা অর্জন হয়ছে। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা ভারত ছিনতাই কর নিয়েছিলো,স্বাধীনতা অর্জন হয়েছিল ইনশাআল্লাহর নাম বলে, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের স্বাধীনতার অঙ্গীকার ছিলো এদেশে কুরআন সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন রচিত হবে না।

অথচ ১৯৭২ সালে পার্শবতী বন্ধু নামীয় শক্রু রাষ্ট্র বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিমতাসুলভ আচরণকারী ভারতের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী এদেশের মানুষের সংখ্যাগরিষ্ট চিন্তা চেতনা তাওহিদ তামাদ্দুন ধর্ম কালচারকে অপেক্ষা করে যেই সংবিধান রচনা করা হয়েছিল সেই সংবিধানের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হাইজ্যাক করা হয়েছিল। ৭২ এর সংবিধান ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরিপন্তি ছিল।

আসুন দেশ গঠনে ঐক্যবদ্ধ হই, যার যার দল তার তার কাছে, ছাত্রজনতা শহীদি মার্চ মাস উদযাপন করেছে, যেই সকল শহীদদেরকে আমরা সংগ্রামী সালাম জানাই। যাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা এই বাংলাদেশকে মুক্তভাবে পেয়েছি। তাদের আত্মত্যাগ আমরা যেন ভুলে না যাই। আমরা যেন স্বার্থপর না হয়ে উঠি।

শহীদদের সাথে যেন আমরা গাদ্দারী না করি। আমরা যারা বেছে আছি আমাদের দায়িত্ব হলো শহীদদের ঋণ শোধ করা। কেউ যেন বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে চিনি মিনি খেলতে না পারে।

আপনার এলাকার গণমানুষের নেতা এম ইলিয়াস আলীকে গুম করে কি করেছে সেটা পর্যন্ত জানতে দেওয়া হয়নি ফ্যাসিষ্ট সরকার। ইলিয়াস আলীর আপনজনরা এখনো অপেক্ষার প্রহর গনছে, ইলিয়াস আলীর অপরাধ ছিল ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলা এবং বাকশালীর বিরুদ্ধে কথা বলার কারনেই তাকে গুম করা হয়েছে।

আসুন আমরা এমন একটি ন্যায় ইনসাফ সমাজ গঠন করতে চাই, মানুষদেরকে যেন গুম না করা হয়, সন্তানদেরকে যেন পৃতহারা না করা হয়, আর কোন মায়ের বুক যে খালি না হয় ,আমরা যেন দেশে শান্তিতে বসবাস করতে পারি। আল্লাহর দ্বীন আল্লাহর জমিনে প্রতিষ্টিত হলে সমাজের ন্যায় ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ।

এদিকে সমাবেশের শুরুতে কুরআন তেওলায়াত করেন হাফিজ সাইদুর রহমান ও অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতা উল্লাহ আমিন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা ফয়েজ আহমদ, যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি মাওলানা লুৎফুর রহমান কাসেমী, হেফাজতে ইসলাম বিশ্বনাথ উপজেলার সভাপতি মাওলানা কামরুল ইসলাম ছমির, ইসলামী আন্দোলন বিশ্বনাথ উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আমির উদ্দিন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস বিশ্বনাথ উপজেলা শাখার সহ সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা ওয়ারিছ উদ্দিন।

বিশ্বনাথ পৌর বিএনপির সভাপতি হাজী আব্দুল হাই, জামায়াত নেতা এইচ এম আক্তার ফারুক, পৌর জামায়ের আমির আব্দুস সোবহান, বাংলাদেশ খেলাফত মজসিল উপজেলা শাখার সহ সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান আনসারী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বিশ্বনাথ উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হাসান বিন ফাহিম, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সামছুল ইসলাম, বাংলাদেশ ছাত্র মজলিস বিশ্বনাথ উপজেলা শাখার সভাপতি হাফিজ তোফায়েল আহমদ শাকিল।

আলোকিত সুরের উপপরিচারক মাওলানা মুখতার হোসাইন, হাফিজ আবু রায়হান, ছাত্র নেতা মুসতাহিদ আল আদনান, যুব মজলিসের সাধারন সম্পাদক নজির আহমদ, মাওলানা আবু আনাছ, মাওলানা ফয়ছল আহমদ প্রমুখ।