অ্যাম্বার হার্ডের সাথে গেল সপ্তাহেই তার বিলিনিয়র বয়ফ্রেন্ড ইলন মাস্কের সাথে সম্পর্ক চুকিয়ে বুকিয়ে দিয়েছেন।এই জুটি এখন বলছে তারা সবসময় ভাল বন্ধু হিসেবেই থাকবেন।

কিন্তু হলিউডে এমনও অনেক জুটি রয়েছে বিচ্ছেদ গুলো খুব সহজ ভাবে হয়নি। রীতিমত হাতাহাতি, মারামারি করে, শেষটায় আদালতে চক্কর কেটে, মামলা মোকাদ্দমা করে তারপর বিচ্ছেদ হয়েছে।

অ্যাম্বার হার্ডের কথাই ধরা যাক। কদিন আগেই বিচ্ছেদ হয়ে গেল তার সাবেক স্বামী জনি ডেপের সাথে। কিন্তু এই ডিভোর্সের বিষয়টা মোটেই মসৃন ছিল না। নির্যাতনের অভিযোগ এনেছেন ডেপের বিরুদ্ধে।

অ্যাম্বার ২০১৬ সালের মে মাসে ডেপের বিরুদ্ধে ডিভোর্সের আবেদন করেন। পাঁচ দিন পরে তিনি ডেপের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। যাতে বলা হয় ডেপ তাকে শারীরিক ও মৌখিক ভাবে নির্যাতন করেছেন। এমনকি বিচ্ছেদের আবেদনের দুই দিন আগেও সহিংস ঘটনা ঘটে ছিল তাদের মধ্যে। এক মাসের মধ্যে হার্ডের আইনজীবী ডিভোর্সের সব কিছু প্রস্তুত করেন এবং ডেপের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করেন।

২০১৭ সালে তাদের ডিভোর্স নিষ্পত্তি হয়। সেবার ৭০ লাখ ডলারের বিনিময়ে পার পান ডেপ। বিচারকের কাছে অ্যাম্বার বলেন, ‘আমাদের সম্পর্ক আন্তরিক ভাবে ছিল প্রগাঢ় কিন্তু একসময় এটি উদ্বেগ এর বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। এরপরও আমরা সব সময় একজন আরেকজনের প্রেমে বাঁধা পড়েছিলাম।’

শুধু তারাই নয় হলিউডে এমন আরও বেশ কিছু জুটি রয়েছে যারা ভালবেসে ঘর বাঁধলেও বিচ্ছেদ হয়েছে চরম তিক্তিতার মধ্য দিয়ে।

ম্যাডোনা-শন পেন

১৯৮৫-১৯৮৯ সাল পর্যন্ত বিখ্যাত গায়িকা ম্যাডোনা এবং শন পেনের দাম্পত্য জীবন ছিল। পুরো সময় জুড়েই গুঞ্জন ছিল শন নানাভাবে নির্যাতন করতেন ম্যাডোনাকে। এমনকি বেসবলের ব্যাট দিয়েও মেরেছেন ম্যাডোনাকে। পরিচালক লি ডেনিস বিষয়টি সামনে আনেন। কিন্তু ডিভোর্স কালে ম্যাডোনা বলেন, ‘আমাদের মধ্যে আনেক মতানৈক্য ছিল, কিন্তু শন কখনও আমায় আঘাত করেনি।’

মেল গিবসন-ওক্সানা গ্রেগ্রিয়েভা

২০১০ সালে মেল গিবসন বিরুদ্ধে তার পার্টনার ওক্সানা গ্রেগ্রিয়েভাকে মারধোর করবার অভিযোগ উঠে। একই বছরের জুলাইতে তিনি গ্রেগ্রিয়েভার বিরুদ্ধে বর্ণবাদী ভাষাও ব্যবহার করেন বলে শোনা যায়। পরিণাম, বিচ্ছেদ।

জশ ব্রোলিন-ডায়ান লেন

২০০৪ সালে অভিনেতা জশ ব্রোলিনের বিরুদ্ধে তার তারকা স্ত্রী ডায়ান লেন ‘পারিবারিক নির্যাতনের’ অভিযোগ আনেন। যদিও পরে অভিযোগটি প্রত্যাহার করা হয়। বলা হয়, ভুল বোঝবুঝি ছিল বিষয়টি।

নিকোলাস কেজ-অ্যালিস কিম

জনপ্রিয় অভিনেতা নিকোলাস কেজ তো ২০১১ সালে গ্রেপ্তারই হয়েছিলেন। অভিযোগ ছিল, তার স্ত্রী অ্যালিস কিমকে নির্যাতনের এবং ঘরের শান্তি নষ্ট করার। এছাড়া ও উচ্চ মাত্রার মাতাল ছিলেন।