বগুড়ার শিবগঞ্জে কালো পাহাড় দেখতে পাহাড়ের মতই, দাম হাঁকা হচ্ছে ১৩ লক্ষ টাকা

বগুড়ার শিবগঞ্জের ফ্রিজিয়ান জাতের ষাড় কালো পাহাড় দেখতে পাহাড়ের মতই। আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল আযহায় কালো পাহাড়ারকে ১৩ লক্ষ টাকায় বিক্রি করে পবিত্র হজ্জ্ব পালন করতে চান খামারি আহম্মাদ আলী। ষাড়ের শারীরিক গঠন ও উচ্চতা দেখতে পাহাড়ের মত হওয়ায় পরিবারের লোকজন আদর করে তার নাম রাখে কালো পাহাড়।

গরুটি এক নজর দেখার জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন প্রতিনিয়ত ভিড় করছে। সরেজমিনে উপজেলার ময়দানহাট্টা ইউনিয়নের বাকসন পূর্বপাড়া গ্রামে গেলে জানা যায়, কালো রং এর ষাড়টি ওজনে ১৪’শ কেজি। উচ্চতায় ৬ফিট ও দৈর্ঘ্যে ৯ফিট।

জানতে চাইলে খামারি আহম্মাদ আলী বলেন, কালো পাহাড়ের হলিষ্ট্রিম ফ্রিজিয়াম জাতের গরুটি পাঁচ বছর পূর্বে তার বাড়িতে জন্ম নেয়। জন্ম নেওয়ার পর থেকে তাকে আদর যতœ করে সন্তানের মত লালন পালন করে ওই কৃষক। মনের ইচ্ছা ও সখ পুরণ করতে প্রথম দিকে কালো পাহাড়কে প্রতিদিন ২০০-৩০০ টাকা করে খাবার খাওয়ানো হতো।

গত ১ বছর যাবৎ কালো পাহাড়র প্রতিদিন ৭ কেজি ভূষি, ১ কেজি খৈল, ৩ কেজি খুদ এর পাশাপাশি নেপিয়ার ঘাস ২৫-৩০ কেজি এবং ৮-১০ কেজি করে খড় খাওয়ানো হতো। বর্তমানে গরুটির মালিককে প্রতিদিন ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা গুনতে হচ্ছে গরুর খাবারের জন্য। কালো পাহাড়কে লালন পালন করতে তাকে সাহায্য করেন তার স্ত্রী মঞ্জুয়ারা বেগম, পুত্রবধু সাম্মি বেগম, মুক্তি বেগম ও বড় ছেলে আবু তালেব।

বংশ পরমপরায় গরু লালন পালন করে আসলেও কালো পাহাড় এর মত বিশাল আকৃতির গরুটি এই প্রথম লালন-পালন করেছেন তিনি। কালো পাহাড় ছাড়াও তার বাড়িতে ছোট বড় চারটি গরু রয়েছে। জমা-জমি চাষাবাদ করলেও সখের বসে তিনি গরু লালন পালন করে আসছেন।

তিনি আরও বলেন, কালো পাহাড়কে যতœ করে সন্তানের মত লালন পালন করছি। আমার স্বপ্ন ও সখ এই কালো পাহাড়কে বিক্রি করে পবিত্র হজ্জ্ব ব্রæত পালন করতে পারি।

শিবগঞ্জ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, এতো বেশি ওজনের ষাড় বিক্রি করা কঠিন। আমরা বিভিন্ন পার্টির সাথে ও সেল বাজারে যোগাযোগ করে ষাড়টি বিক্রির ব্যাবস্থা করা হবে।