বগুড়ার শিবগঞ্জে প্রতিমা বিসর্জ্জনে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব

বগুড়ার শিবগঞ্জে বিজয়া দশমী ও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব

মঙ্গলবার বিকেল ৪টা থেকে শুরু হয় প্রতিমা বিসর্জন চলে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, মানুষের মনের আসুরিক প্রবৃত্তি কাম, ক্রোধ, হিংসা, লালসা বিসর্জন দেয়াই মূলত বিজয়া দশমীর মূল তাৎপর্য।

ষষ্ঠী তিথিতে ‘আনন্দময়ীর’ আগমনে গত ২০শে অক্টোবর থেকে ৫দিন ধরে পূজামন্ডপগুলোতে পূজা-অর্চণার মধ্যদিয়ে ভক্তরা দেবী দুর্গার প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন। দশমী তিথিতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে তা শেষ হয়।

এবার দেবী দুর্গা জগতের মঙ্গল কামনায় ঘোটকে চড়ে মর্ত্যালোকে (পৃথিবী) আসেন এবং স্বর্গে বিদায় নেন ঘোটকে চড়ে। যার ফলে জগতের কল্যাণ সাধিত হবে।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ,শিবগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক বাবু সুবীর কুমার দত্তের কাছে জানতে চাইলে তিনি শিবগঞ্জ উপজেলাবাসীকে শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, এ বছর আমাদের শিবগঞ্জে ৬০ টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। শারদীয় দুর্গোৎসবকে শান্তিপূর্ণ নিরাপদ ও উৎসবমুখর করবার জন্য উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ও সবকটি পূজা মন্দির কমিটির সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হয়েছে।

নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে জোরদার করবার জন্য প্রত্যেকটি ইউনিয়নের পূজা কমিটি সমূহের সঙ্গে আলাদা আলাদা মিটিং করে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, সক্রিয় ও দায়িত্বশীল স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন এবং নিরাপত্তার স্বার্থে অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিলো।

উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে সংগঠনের সভাপতি বাবু রাম নারায়ন কানুকে আহ্বায়ক, সুবীর কুমার দত্তকে সদস্য সচিব এবং বাবু মোহন লাল কানু, প্রভাষক আশীষ কুমার রায়, প্রভাষক নয়ন কুমার সরকার, শ্যামল কুমার মোদক-কে সদস্য করে ৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছিলো। কোন অপ্রিতিকর ঘটনা ছাড়াই সুষ্ঠুভাবে সারা উপজেলায় প্রতিমা বিসর্জ্জন সম্পন্ন হয়েছে।