বগুড়ার শিবগঞ্জে সড়কের বেহাল দশা, জনদুর্ভোগ চরমে

বগুড়ার শিবগঞ্জে লালদহ থেকে জামতলি বাজার পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা, জনদুর্ভোগ চরমে। দেখার যেন কেই নাই।

এই সড়কে প্রতিনিয়িত উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নসহ পাশ্ববর্তী তিন উপজেলার সাধারণ জনগণের চলাচলের প্রধান রাস্তা। তিন মাসের অধিক সময় ধরে সড়কটির উন্নয়ন কাজ শেষ না হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা চরমভাবে বিঘিœত হচ্ছে।

জানা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে টেন্ডারের মাধ্যমে বরেন্দ্র কন্সট্রাকশন লিঃ এ চার কিলোমিটার রাস্তার কাজ পান। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান গত ঈদ উল ফিতরের সময় রাস্তা খুড়াখুড়ির কাজ শুরু করেন। কার্যত খুড়াখুড়ির পরে রাস্তার অবস্থা আরো বেশী বেহলা হয়ে যায়।

গত তিন মাস যাবৎ ওই রাস্তার কার্পেটিং এর কাজ না হওয়ায় এবং ধীর গতিতে কাজ চলায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে ধীর গতিতে রাস্তায় কাজ চলায় সাধারণ মানুষ পড়ছে চরম বিপাকে। রাস্তার অধিকাংশ জায়গায় ছোট বড় গর্ত ও খানা খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি ছোট বড় গর্তে ও খানা খন্দে জমা থাকায় যান চলাচলে পথচারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

শোলাগাড়ী গ্রামের অটোচালক আবুল কালাম বলেন, এই রাস্তা দিয়ে আমি অটোরিক্সা চালায়। রাস্তার কাজ ধীর গতিতে হওয়ায় আমাদের গাড়ীর টায়ারসহ বিভিন্ন যত্রাংশের ক্ষতি হয়। যাত্রীরা গাড়ীতে উঠতে চায় না। রোগীকে নিয়ে এই রাস্তা দিয়ে যাওয়া যায় না।

সিঙ্গাগাড়ী গ্রামের অটোভ্যান চালক আবু সালাম বলেন, গাড়ীতে যাত্রী উঠতে চায় না। গাড়ী নিয়ে এই রাস্তা দিয়ে যেতে কষ্ট হয়। আমার অটোভ্যানের টায়ার বেশিদিন টিকে না। আমরা গরীব মানুষ একটি টায়ার কিনতে অনেক টাকা লাগে। রাস্তার কাজ দ্রæত হলে আমাদের সুবিধা হবে।

সংসারদিঘী গ্রামের রফিকুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিন পূর্বে আমার ছেলে অসুস্থ্য হয়েছিলো। টাকা দিয়েও কোন গাড়ী পাই নাই। কোন গাড়ীর চালক এই রাস্তা দিয়ে গাড়ী নিয়ে যেতে চায় না। রাস্তার মাঝে মাঝে ছোট ছোট গর্ত খানা খন্দর সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আরো বলেন, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে রাস্তার বেহাল দশা হয়েছে।

শিবগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী সুমন মাহমুদ বলেন, এ রাস্তার কাজের আরও ১৭ দিন সময় রয়েছে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে বলা হয়েছে। এ রাস্তার কাজ দ্রুত করা হবে।

সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে মুঠোফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। সচেতন মহল মনে করেন দ্রুত রাস্তার কাজ শেষ হলে সাধারণ মানুষের চলাচলে সুবিধা হবে এবং এই দুর্ভোগ লাঘব হবে।