বগুড়ায় পর্নগ্রাফি মামলায় গ্রেফতার ১
বগুড়ায় পর্নগ্রাফি মামলায় ১ জনকে গ্রেফতার করেছে সোনাতলা থানা পুলিশ।
কখনো আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে, কখনো দাদন ব্যবসা করে, কখনো মাদক বিক্রি করে এবং কখনো লম্বা পাঞ্জাবী পরে তাবলীগ জামাত করে বেড়ান মনিরুজ্জামান ঠান্ডু। তবে তার আসল পরিচয় সে বালুয়াহাট ডিগ্রী কলেজের অফিস সহায়ক।
সে সোনাতলা উপজেলার বালুয়া ইউনিয়নের ছোট বালুয়া গ্রামের কারিগরপাড়ার আবুল সরকারের ছেলে।
গতকাল শনিবার রাতে বালুয়াহাট এলাকা থেকে পর্নোগ্রাফি মামলায় তাকে গ্রেফতার করে সোনাতলা থানা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, স্ত্রীর ছবি বিকৃত করে পর্নো ছবির সাথে ইডিটিং করে নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে হুমকি দেয়ার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলা করেছেন তার সদ্য তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী।
গত কয়েক সপ্তাহ আগে পারিবারিক কলহের জেরে তাদের তালাক হয়। ঐ অভিযোগে তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী বলেন তার ছবিকে বিকৃতি করে অশ্লীল ছবিতে রুপান্তরিত করে গত কিছুদিন থেকে নানা ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন, তাই সে পুলিশের দারস্ত হয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঠান্ডুর প্রথম স্ত্রী ছিলেন তারই বন্ধুর স্ত্রী। ঐ স্ত্রীর বাবার বাড়ি বোচাপুকুর এলাকায় এবং স্বামীর বাড়ি ছিলো বালুয়া ইউনিয়নের উত্তর আটকরিয়ায়। বন্ধুর বাড়িতে যাওয়া-আসার সুযোগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে এক পর্যায়ে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করেন। বিয়ের পরে কিছুদিন ভালো থাকলেও এখন প্রথম স্ত্রী মানসিক রোগী। সেই সুযোগে আবারো ২য় বিয়ে করেন ঠান্ডু গত কয়েক সপ্তাহ আগে তাকেও তালাক দেয়।
স্থানীয়ভাবে অভিযোগ রয়েছে, বছর খানেক আগে বালুয়া ইউনিয়নের নগরপাড়া গ্রামের এক গৃহবধুর ঘরে ঢুকে হাতে-নাতে ধরা পরে উত্তম মাধ্যম কিলঘুষির পরে মোটা অঙ্কের অর্থ জরিমানা দেয়। এ ঘটনায় একটি মামলায় কয়েকমাস জেলেও থাকেন তিনি। মামলাটি এখনো চলমান।
তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীর সাথে এক জনপ্রতিনিধির কথার কাটাকাটি ও ধস্তাধস্তির ঘটনায় ঐ চেয়ারম্যনকে মারধোর করেন তিনি। অনেক সময় হাতে চাপাতি, দা ও লম্বা ছোড়া নিয়ে বালুয়াহাটে মহরা দেয়ার ঘটনাও আছে। এধরনের বিষয়গুলো নিয়ে ঠান্ডুর সাথে অনেক সময় কথা বললে তিনি বলতেন যেহেতু তার একটি রাজনৈতিক পরিচয় আছে তাই নেতাদের নির্দেশেই এসব করেন।
গ্রেফতারের বিষয়ে সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রেজাউল করিম বলেন মনিরুজ্জামান ঠান্ডুর তালাক প্রাপ্তা স্ত্রীর দায়ের করা পর্নোগ্রাফি মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে কিছু তথ্য প্রমান হাতে পেয়েছি এবং তার মোবাইল ফোন জব্দ করে সিআইডিতে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসার পরে হয়তো আরো তথ্য পাওয়া যাবে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি এবং সে অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন