বগেরহাটের শরণখোলায় ভাঙন কবলিত এলাকায় জিওব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2023/10/sharonkhola-picture-2-19.10.2023-900x450.jpg)
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2025/02/475351977_1256003665483861_2959209934144112011_n.jpg)
বাগেরহাটের শরণখোলায় ৩৫/১ পোল্ডারের নির্মানাধীন মূল বেরিবাধ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে হস্তান্তরের আগেই ডেবে যেতে শুরু হয়েছে।
(১৯ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে ভাঙন কবলিত গাবতলার আশার আলো মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন রোধের চেষ্টা করছে প্রকল্পের সাথে জড়িত কর্তৃপক্ষ। অন্য দিকে ভাঙন কবলিত এলাকার আধা কিলোমিটারের মধ্যে সঙ্গবদ্ধ একটি চক্র দীঘদিন ধরে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করায় ওই এলাকায় গভীরতার সৃষ্টি হওয়ায় ভাঙন শুরু হয়েছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন।
(১৮ অক্টোবর) সকাল ৭টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার ভাঙন শেষ হওয়ার পর ১৯ অক্টোবর সকালে আবারো মূল বেরিবাধে প্রায় ১০০ মিটার ডেবে গেছে আর এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে ওই এলাকায় বসবাসকারী কয়েকশত পরিবার।
ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শণ করেছেন শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাহিদুল ইসলাম শামিম, বাগেরহাট জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাসুম বিল্লাহ, সিআইপি প্রজেক্টের ফিল্ড ইঞ্জিনিয়ার নাহিদ। এছাড়া ভাঙন কবলিত সাউথখালী ইউনিয়নের গাবতলার আশার আলো মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলতে শুরু করেছে প্রকল্প কর্মকর্তারা। আর এতে স্বস্থি এসেছে ওই এলাকায় বসবাসকারী গ্রামবাসীর মধ্যে।
এ ব্যাপারে সাউথখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরান হোসেন রাজিব ও সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য জাকির হাওলাদার বলেন, ভাঙন কবলিত এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলায় ভাঙন রোধ হতে পারে বলে তারা মনে করে। তবে বগি থেকে উত্তর সাউথখালী পর্যন্ত ব্যাপক আকারে নদী শাসন ব্যবস্থা না করলে অন্য যেকোনো যায়গা থেকে আবারও ভাঙন শুরু হতে পারে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দক্ষিণ সাউথখালী ইউনিয়নের গাবতলা এলাকার কয়েকজন গ্রামবাসী জানান একটি প্রভাবশালী মহলের ইন্ধনে উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের খাদা গ্রামের কিচলু তালুকদার ও সেলিম বয়াতি ড্রেজার দিয়ে ভাঙন কবলিত এলাকার বলেশ্বর নদী থেকে বালু উত্তোলন করায় এ ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে শরনখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাহিদুল ইসলাম শামিম ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে বলেন, তিনি ইতোমধ্যে বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবহিত করেছেন এছাড়া যে কাজ শুরু হয়েছে তাতে ভাঙন কিছুটা কমলেও আরও ব্যাপক আকারে পদক্ষেপ নেয়ার প্রয়োজন রয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
এ ব্যাপারে বেরিবাধ নির্মান প্রকল্পের খুলনা বিভাগীয় কনসালটেন্ট সুপারভিশন ইঞ্জিনিয়ার মোঃ শরিফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি শুনে তাৎক্ষণিক ভাঙন কবলিত এলাকার ভাঙনরোধে জিওব্যাগ ফেলানো শুরু হয়েছে। ব্যাপক আকারে কার্যক্রম করা হবে বলে তিনি জানান।
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2024/12/469719549_122234398946008134_2936380767280646127_n.jpg)
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন