বঙ্গবন্ধু আমাদের সাহস, নজরুল প্রেরণা : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন: বঙ্গবন্ধু যেমন বাঙালির জন্য সাহসের নাম ঠিক তেমনই কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের প্রেরণার নাম।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলে অবস্থিত কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি (ডি-লিট) গ্রহণ শেষ সমাবর্তনে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় তিনি এই মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন: এখানে আসতে পেরে আমি আজ দারুণ খুশি। বিশ্বের অনেক জায়গা থেকে অনেক প্রস্তাব এসে পড়ে আছে, সময় করে উঠতে পারছি না। কিন্তু ‘নজরুল’-এর নাম দেখলাম, তখনই আমি এক বাক্যে রাজি হয়ে গেছি।
তিনি বলেন: আমরা শুধু বাংলাদেশের কথা ভাবি না। আমরা উপমহাদেরর কথা ভাবি। দারিদ্র মুক্ত উপমহাদেশ আমরা দেখতে চাই। তাই আজ যারা এখান থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে শিক্ষা জীবন শেষ করে কর্মজীবনে প্রবেশ করছে, তাদের বলবো- ‘জীবনে কর্মক্ষেত্রে মানবতাবোধকে সবার উপরে স্থান দেবে। নজরুল আমাদের শিখিয়েছেন, মানবতা এবং মানব কল্যাণেই জীবনের প্রশান্তি।’
বাঙালির প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে নজরুল ছিলেন মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন: বঙ্গবন্ধু এবং নজরুল বাংলাদেশের স্বাধীনতার সঙ্গে জড়িত দুটি নাম। জেল-জুলুম তাদের কখনও দমিয়ে রাখতে পারেনি। নজরুল যেমন আমাদের প্রেরণা তেমনই বঙ্গবন্ধু আমাদের সাহস। প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর পাশাপাশি নজরুলের নাম চলে আসে।
‘জয় বাংলা’ স্লোগানটিও নজরুলের কবিতা থেকেই নেওয়া জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন: ‘জয় বাংলা স্লোগানটি নজরুল ইসলামের একটি কবিতা থেকেই নেওয়া। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ ছিল জয় বাংলা স্লোগানটি যেন জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এই স্লোগানই পরবর্তীতে বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করেছিলো।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন: নিজেকে ভাগ্যবান মনে হচ্ছে নিজেকে এখান থেকে সম্মানিত হতে পেরে। তিনি দুই বাংলার কবিই নন, দুই বাংলার মানুষের মধ্যে সেতুবন্ধন রচনা করে রেখেছেন কাজী নজরুল ইসলাম। নজরুল এক বিরল প্রতিভা। কোথায় নাই তার বিচরণ?
মুক্তিযুদ্ধে ভারতবাসীর সহযোগির কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সহিত্যের কবি কাজী নজরুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু রাজনীতির কবি বলে মন্তব্য করেন তিনি। এছাড়া কাজী নজরুল ইসলামের নামে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যয়কে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি (ডি-লিট) গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ সময় শনিবার দুপুর দেড়’টায় নজরুলজয়ন্তী উপলক্ষে আসানসোলের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সমাবর্তনে উপস্থিত হয়ে তিনি এটি গ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে সম্মানসূচক ডিলিট তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সাধন চক্রবর্তী। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্বর্ণপদক পাওয়া ২০ জন কৃতী শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী এ সম্মান সকল বাংলাদেশি এবং বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা সকল বাঙালির জন্য উৎসর্গ করেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন