বঙ্গোপসাগরে নৌকাডুবিতে জেলের মৃত্যু, নিখোঁজ ২০

ঝড়ো হাওয়াসহ প্রবল বৃষ্টিতে বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার উপকূলে নৌকাডুবির ঘটনায় আব্দুস শুক্কুর (৪০) নামে এক জেলে নিহত হয়েছেন।

একই সঙ্গে ১৬টি মাছধরা নৌকা ডুবে ২০ জেলে নিখোঁজ রয়েছেন। পাশাপাশি ১৩ জন জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার ভোরে ঝড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে নৌকা ডুবে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আবদু শুক্কুর কক্সবাজার সদর উপজেলার চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের অছিউর রহমানের ছেলে।

কক্সবাজার হাসপাতাল পুলিশ বক্সের ইনচার্জ আপন হোসেন মানিক জানান, সকাল সাড়ে ১০টায় ১৪ জনকে হাসপাতালে আনা হয়। এদের মধ্যে মুমূর্ষু অবস্থায় আনা আবদু শুক্কুর নামে এক জেলেকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বাকি ১৩ জনকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

জেলা নৌকা-মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহামদ জানান, ভোরে আকস্মিক ঝড়ো হাওয়া শুরু হলে বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার উপকূলের হিমছড়ি, কলাতলী, মহেশখালীতে ১৬টি নৌকা ডুবে যায়। এসব মাছধরা নৌকার অধিকাংশ জেলে সাঁতরে কূলে উঠতে সক্ষম হলেও এখনো ২০ জেলে নিখোঁজ রয়েছেন। সাগরে এখন পর্যন্ত শতাধিক নৌকা অবস্থান করছে। এসব নৌকার জেলেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছে। তাদেরকে কূলে ফিরে আসতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

কোস্টগার্ড কক্সবাজার স্টেশনের কন্টিজেন্ট কমান্ডার আকিরুল হাসান বলেন, মহেশখালী চ্যানেলের পশ্চিমে কবুতর চর নামক স্থানে দু’টি নৌকা ভেঙে যাওয়ার খবর আমরা পেয়েছি। চারজন জেলেকে উদ্ধার করেছে অন্য নৌকার লোকজন। তাদেরকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কক্সবাজার স্টেশনের কর্মকর্তা শেফায়ত উল্লাহ সাগর জানান, নৌকাডুবির তথ্য পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দু’টি টিম কলাতলী ও ডায়বেটিক পয়েন্টে অবস্থান করছে।

কক্সবাজার সদর থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) কামরুল আজম বলেন, কয়টি নৌকা ডুবেছে কিংবা কতজন জেলে নিখোঁজ রয়েছে তা জানা সম্ভব হয়নি। তবে নৌকাডুবির ঘটনায় একজন নিহত এবং ১৪ জন আহত হয়েছে বলে জেনেছি।