বদলির পরেও দফতর ছাড়েননি ২৯ কর্মকর্তা
প্রশ্ন ফাঁস ও বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে সম্প্রতি বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ২৯ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়। তবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তারা নতুন কর্মস্থলে যোগ দেননি। এমনকি তারা আগের দফতরেই বহাল তবিয়তে কাজ করছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব এ জেড এম নূরুল হক বলেন, ‘এখনও কেউ যোগদান করেননি। প্রক্রিয়া চলছে, শিগগিরই নতুন কর্মকর্তারা আসবেন। তখন আগের কর্মকর্তারা চলে যাবেন।’
প্রজ্ঞাপনের পরও নতুন কর্মকর্তারা যোগদান না করায় দাফতরিক কাজ ব্যাহত হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘না, তেমন একটা ব্যাহত হচ্ছে না। চালিয়ে নেয়া হচ্ছে। আমরা এবার নতুন কর্মকর্তাদের এমনভাবে বাছাই করেছি, যাতে নাজুক পরিস্থিতি তৈরি না হয়। এক্ষেত্রে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থারও সহায়তা নিচ্ছি।’
যাদের ঢাকার বাইরে বদলি করা হয়েছে, তারা সংশ্লিষ্ট দফতরে যোগদান করেছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে এ জেড এম নূরুল হক বলেন, ‘এখনও সবাই যোগদান করেননি। ধীরে ধীরে সবাই করছেন। তবে আমি যতদূর জানি বেশিভাগই যোগদান করেননি।’
তবে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোতে গিয়ে ভিন্ন চিত্র দেখা যায়। সেখানে বদলি হওয়া অধিকাংশ কর্মকর্তাই আগের দায়িত্বে কাজ করছেন।
এর মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের কলেজ শাখা-৪ এর সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন বদলি হয়েছেন। তবে তার দফতরের বাইরে এখনও নামফলক রয়েছে। পরে দফতরের গিয়ে তার সঙ্গেও এই প্রতিবেদকের দেখা হয়।
বদলি আদেশের ৮ দিন পরেও দফতরে রয়েছেন বলতেই জাকির হোসেন কিছুটা বিব্রতবোধ করেন। পরে ফেনী জিয়া সরকারি মহিলা কলেজে যোগদান না করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার স্থলে কোনো কর্মকর্তা এখনও আসেননি। এজন্য দাফতরিক কাজগুলো করতে হচ্ছে। খুব শিগগিরই নতুন কর্মস্থলে যোগ দেব।’
একই অধিদফতরের কলেজ শাখা-২ এর সহকারী পরিচালক মোহাম্মাদ দেলোয়ার হোসেনের দফতরে গিয়েও তার নামফলক পাওয়া যায়। তবে তিনি জরুরি কাজে দফতরের বাইরে আছেন বলে জানান অফিস সহকারী মো. আলী।
তিনি আরও বলেন, ‘স্যার, কখন যাবেন, সেটা আমি জানি না। তবে যতদিন নতুন কর্মকর্তা না আসেন, ততদিন তিনি কাজ চালিয়ে যাবেন।’
অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মাদ দেলোয়ার হোসেনকে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে বদলি করা হয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের কলেজ-২ এর দায়িত্বে থাকা উপ-পরিচালক অধ্যাপক মো. মেজবাহ উদ্দিনের দফতরে গেলে তার দফতরে নামফলক থাকলেও তালা পওয়া যায়। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পাশের রুমে বিদায় অনুষ্ঠানে আছেন তিনি।
তার অনুপস্থিতিতে উপ-পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন অধিদফতরের কলেজ-৩ শাখার সহকারী পরিচালক ফারহানা আক্তার। পরে তার রুমে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের কলেজ-২ এর দায়িত্বে থাকা উপ-পরিচালক অধ্যাপক মো. মেজবাহ উদ্দিনকে মাদারীপুরের বরহামগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন