বদলে যাওয়া বাংলাদেশের গল্প
বদলে যাওয়া বাংলাদেশের গল্প
আবদুল মান্নান
ভারতের রাজধানী নতুন দিল্লিতে জি২০সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অংশগ্রহণএবং তার পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহবিশ্লেষণ করে বদলে যাওয়াবাংলাদেশের কিছু কথা তোবলতে হচ্ছে। সামনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন। অন্যসব দেশের মতো দেশের সংবিধানমেনে এই নির্বাচন হওয়ারকথা। কিন্তু সরকারের বিরোধী পক্ষ আর দেশেরকিছু বিজ্ঞ সুধীজন তা মানতে চাননা।
তাঁদের মতে, নির্বাচন হতেহবে অসাংবিধানিকভাবে। এমন নির্বাচন বিশ্বেশুধু একটি দেশেই হয়, সেই দেশটি হচ্ছে পাকিস্তান। এই পাকিস্তানের সঙ্গেলড়াই করে বাঙালি একাত্তরেদেশ স্বাধীন করেছিল।
বদলে যাওয়া বাংলাদেশের গল্প শেখ হাসিনানিরবচ্ছিন্নভাবে দেশ শাসন করছেনপ্রায় ১৫ বছর।
তাঁর বাবা জাতির পিতাবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানস্বাধীন দেশে বেঁচে ছিলেনমাত্র সাড়ে তিন বছর।ঘাতকরা তাঁকে সপরিবারে হত্যা করে ১৯৭৫ সালের১৫ আগস্ট। ভাগ্যক্রমে বেঁচে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা, আজকেরপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরতাঁর ছোট বোন শেখরেহানা। অনেক চাড়াই-উতরাইপার হয়ে শেখ হাসিনা১৯৯৬ সালে পিতার দলবাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় এনেছিলেন।
সেটি একটি অভূতপূর্ব ঐতিহাসিকঘটনা। তখন থেকেই বাংলাদেশেরবদলে যাওয়ার যাত্রা শুরু। ১৯৯৬ সালে নির্বাচনেবিজয়ী হয়ে সরকার গঠনেরপর শেখ হাসিনার সামনেপ্রথমে যে চ্যালেঞ্জটা ছিলতা হচ্ছে দেশে আইনের শাসনপ্রতিষ্ঠা করা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকরার পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, দেশের প্রথম সেনাশাসক জেনারেল জিয়াউর রহমান। ১৫ আগস্টের পর৮১ দিনের জন্য ঘাতকদের সহায়তায়ক্ষমতায় ছিলেন বঙ্গবন্ধুরই দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহকর্মী খন্দকার মোশতাক।
তিনি পঁচাত্তরের ঘাতকদের, খুনিদের তাদের অপরাধের দায়মুক্তি দিয়ে একটি অধ্যাদেশজারি করেন। জিয়া ক্ষমতা দখলকরে ১৯৭৭ সালে একটিতামাশার নির্বাচন করে, এরপর সেইঅধ্যাদেশটিকে সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত করে তা আইনেপরিণত করেন। ১৯৯৬ সালের নির্বাচিতসংসদে সেই কুখ্যাত আইনটিবাতিল করে সরকার পঁচাত্তরেরখুনিদের উন্মুক্ত আদালতে বিচার শুরু করেন। যাত্রাশুরু হয় দেশে আইনের শাসনের। ইচ্ছা করলে শেখ হাসিনাএই বিচারকাজ একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনালেকরতে পারতেন। তা তিনি করেননি।২০০১ সালে ক্ষমতায় এসেখালেদা জিয়া এই বিচারকাজবন্ধ করে দিয়েছিলেন। পরবর্তীকালেশেখ হাসিনা ফের ক্ষমতায় এসেএই বিচারকাজ শেষ করেন।
১৯৭৬ সালে উচ্চ শিক্ষার্থেপ্রথম যুক্তরাষ্ট্রে যাই। তখন ওইদেশের পত্রিকায় বহির্বিশ্বের তেমন কোনো সংবাদইথাকত না। মাঝে মধ্যেবাংলাদেশের বন্যা, নৌকাডুবি, শীতে মানুষের মৃত্যুএমন সব নেতিবাচক সংবাদথাকত। ১৯৭৬ সালে শিকাগোশহরের ট্যাক্সিচালককে বাংলাদেশ কোথায় বোঝাতে অনেক চেষ্টা করেবলতে হয়েছে একাত্তরের যুদ্ধের কথা। জবাবে সেবলে ‘ও মুজিব কান্ট্রি’? বলি হ্যাঁ। তার পরের বাক্য ‘তোমরা তোমাদের নেতাকে মেরে ফেলেছ।’ চুপহয়ে যাই। সেই বাংলাদেশকেমানুষ এখন নানা কারণেচেনে। চেনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীশেখ হাসিনাকে। তিনি এখন বাংলাদেশেরব্র্যান্ড অ্যাম্ব্বাসাডর।
গত দুই বছরের বেশিসময় ধরে শেখ হাসিনাকেক্ষমতাচ্যুত করার জন্য নানারঙের বিরোধী দল বেশ চেষ্টাকরে যাচ্ছে। এদের মধ্যে আছে—বিএনপি, জামায়াত, বিভ্রান্ত বাম দলগুলো, আছেআচমকা রাজনৈতিক নেতা, আছে ওয়ান ম্যানপার্টি। পেছনে আছে সরকারি দলেরকিছু হাইব্রিড ধান্দাবাজ আর সুযোগসন্ধানী নেতা।আর আছেন সরকারের কিছুসুবিধভোগী কর্মকর্তা। তাঁদের সবার পেছনে আছেপশ্চিমা বিশ্বের কিছু পরাশক্তি, যারাদেখতে চায় আগামী দিনেতাদের পছন্দের একটি তাঁবেদার সরকার।কেউ ২৪ ঘণ্টা সময়দেন, কেউ তারিখ দিয়েবলেন অমুখ দিন শেখহাসিনা ২০টা স্যুটকেস নিয়েপালিয়ে যাবেন। এ পর্যন্ত তেমনটাকিছু হয়নি।
অন্যদিকে শেখ হাসিনা বিশ্বসম্প্রদায়েরকাছে আরো বেশি সমাদৃতহচ্ছেন। বাংলাদেশ সদস্য না হয়েও আমন্ত্রণপাচ্ছে ব্রিকস সম্মেলনে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি যাচ্ছেন ‘আসিয়ান’ সভায় যোগ দিতে।আর উন্নত দেশগুলোর জোট জি২০ সম্মেলনেঅংশ নিতে শেখ হাসিনাকেবিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সদ্যঃসমাপ্ত এই জোটের দুইদিনব্যাপী সম্মেলন শেষ হলো গত১০ সেপ্টেম্বর। শেখ হাসিনা ছাড়াওএই সভায় যোগ দিয়েছিলেনযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ উন্নতও ধনী দেশগুলোর প্রায়২৫ জন সরকারপ্রধানসহ গুরুত্বপূর্ণব্যক্তিরা। সবার মাঝে উজ্জ্বলছিল শেখ হাসিনার উপস্থিতি।
প্রশ্ন হতে পারে কেনইবা বাংলাদেশকে এমন একটা সম্মেলনেআমন্ত্রণ, আর কেনই বাশেখ হাসিনাকে এই সম্মেলনে এতসম্মান? সম্মেলন শুরু হয় সেপ্টেম্বরের৯ তারিখ। শেখ হাসিনা আগেরদিন দিল্লি পৌঁছেন। সেই দিন অপরাহ্নেতাঁর সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর সরকারিবাসভবনে দেড় ঘণ্টার একান্তবৈঠক করেন। এই বৈঠক শেষহতেই মোদি বৈঠক করেনযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে।যদিও এই দুই বৈঠকেএকান্তে কী আলোচনা হয়েছেতা জানা যায়নি, তবেবাংলাদেশের আগামী নির্বাচন সামনে রেখে এই দুইবৈঠককেই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেনপর্যবেক্ষকরা।
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ঐতিহাসিক। এই সম্পর্ক রক্তের, যা একাত্তরে স্থাপিত হয়েছিল। এমন সম্পর্ক ইতিহাসেবিরল। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের চার হাজার কিলোমিটারেরবেশি দীর্ঘ সীমান্ত আছে। উত্তর-পূর্বভারতের নিরাপত্তার জন্য ভারত অনেকটাবাংলাদেশের ওপর নির্ভরশীল। উত্তর-পূর্ব ভারতে একাধিক উগ্র বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ১৯৪৭-পরবর্তী সময়থেকে এই অঞ্চলকে ভারতথেকে বিচ্ছিন্ন করে পৃথক রাষ্ট্রগঠন করতে সহিংস আন্দোলনকরে এসেছে। সব সময় এরাসহায়তা পেয়েছে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের কাছ থেকে। গত৫০ বছরে দেখা গেছেযখনই আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায়ছিল, ভারতের এই অঞ্চল সবচেয়েবেশি নিরাপদ ও শান্ত ছিল। অন্যদিকে বাকিসময় এই বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলোশুধু আইএসআই থেকে সহায়তাই পায়নি, বাংলাদেশকে তারা অবৈধ অস্ত্রচোরাচালানের রুট হিসেবে ব্যবহারকরেছে। বিএনপি আমলে এই কর্মযজ্ঞদেখাশোনা করতেন খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ পুত্র তারেক রহমান। ২০০৪ সালের এপ্রিলমাসে চট্টগ্রামে এমন একটি অস্ত্রেরচালান (১০ ট্রাক) আটকহলে সব কিছু প্রকাশিতহয়ে পড়ে। এই অপরাধেএরই মধ্যে তারেক রহমানকে আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন। তারেক রহমান এখন লন্ডনে পলাতক।ভারতের এই সীমান্ত এখনঅনেকটা শান্ত, যদিও মণিপুরে অভ্যন্তরীণকারণে কিছুটা অশান্তি বিরাজ করছে। অন্যদিকে গত ১৫ বছরেএই অঞ্চলের সঙ্গে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে নানামুখীযোগাযোগ স্থাপনের কারণে অর্থনৈতিকভাবে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোতে যে জোয়ার সৃষ্টিহয়েছে তার জন্য ভারতসব সময় বাংলাদেশের কাছেঋণী হয়ে থাকবে। ভারততো তার নিজের স্বার্থেইবাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা চাইবে। তারা আবার বাংলাদেশকেঅস্ত্র চোরাচালানের রুট দেখতে চায়না। এ নিয়ে তোতারা সব সময় সরকারেরসঙ্গে যোগাযোগ রাখবে, তা বিচিত্র কিছুনয়।
যুক্তরাষ্ট্রেরসঙ্গে বাংলাদেশের সমীকরণ কিছুটা ভিন্ন। একাত্তরে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি। ছিল পাকিস্তানের পক্ষে।পরবর্তীকালে যুক্তরাষ্ট্র শুধু বাস্তবতাই মেনেনেয়নি, বর্তমানে দেশটি বাংলাদেশের একটি বড় উন্নয়নসহযোগী। এই দেশে জ্বালানিখাতে তাদের বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশের রপ্তানির একটি বড় অংশযায় যুক্তরাষ্ট্রে। কভিডের সময় যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকেঅনেক সহায়তা করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি সব সময় তাদেরঅর্থনৈতিক ও করপোরেট স্বার্থেরসঙ্গে জড়িত। এই স্বার্থ রক্ষাকরতে গিয়ে তারা দ্বিতীয়বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে অনেকদেশকে ধ্বংস করেছে, হত্যা করেছে অনেক সরকার ওরাষ্ট্রপ্রধানকে। এসব অপকর্মের জন্যতারা কখনো গণতন্ত্র, কখনোমানবাধিকারকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে। ইতিহাসতা-ই বলে।
যুক্তরাষ্ট্রেরসঙ্গে শুধু বাংলাদেশ নয়, দক্ষিণ এশিয়ার ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রায় সব দেশের সঙ্গেইঅর্থনৈতিক স্বার্থ জড়িত। মিয়ানমারে, যেখানে বাস্তবে এখন কোনো ক্রিয়াশীলসরকারই নেই, সেখানে বিরাটবিনিয়োগ আছে যুক্তরাষ্ট্রের। ভিয়েতনামেনা আছে গণতন্ত্র, নাআছে প্রচলিত অর্থে কোনো মানবাধিকার। দিল্লিরসম্মেলন শেষে প্রেসিডেন্ট বাইডেনছুটে গেলেন সেই ভিয়েতনামে। কারণঅর্থনৈতিক স্বার্থ। বেশ কিছু সময়ধরে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নানা কথাবার্তা আরকর্মকাণ্ডের কারণে বাংলাদেশের মানুষ ও সরকার স্বাভাবিককারণেই মনে করেছে যুক্তরাষ্ট্রবাংলাদেশে ক্ষমতার পরিবর্তন চায়, হোক তাঅসাংবিধানিকভাবে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীনিজে সংসদে কোনো দেশের নামউল্লেখ না করে বক্তব্যদিয়েছেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়সহ তাদের অনেক দায়িত্বশীল ব্যক্তিবাংলাদেশকে আশ্বস্ত করেছেন, তাঁরা বাংলাদেশে কোনো বিশেষ দলকেক্ষমতায় আনতে চান না।তাঁরা একটি সুস্থ ধারাররাজনীতি চান। তাঁদের এইচাহিদার সঙ্গে বাংলাদেশ কখনো দ্বিমত করেনি।যুক্তরাষ্ট্র সব সময় তাদেরস্বার্থে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরঅঞ্চলে তাদের আধিপত্য বজায় রাখতে মরিয়া।গত এপ্রিল মাসে এ বিষয়েবাংলাদেশ তাদের রূপরেখা ঘোষণা করে বলে, এইগুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলটিতে কারো একক আধিপত্যথাকা উচিত নয়। এটিরব্যবহার সবার জন্য উন্মুক্তরাখতে হবে। এ বিষয়েযুক্তরাষ্ট্র প্রথম দিকে কিছুটা বিভ্রান্তিরমধ্যে থাকলেও এখন তাদের কাছেবাংলাদেশ বিষয়টা পরিষ্কার করতে পেরেছে। যুক্তরাষ্ট্রআর ভারতের সঙ্গে আরেকটি ভুল-বোঝাবুঝির বিষয়ছিল বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক। তাদের ধারণা ছিল, বাংলাদেশ চীনেরদিকে বেশি ঝুঁকে পড়ছে।বাংলাদেশ পরিষ্কার ভাষায় বলেছে, চীনের সঙ্গে সম্পর্ক স্রেফ অর্থনৈতিক। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি এখনো বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতানয়’ দ্বারা পরিচালিত হয়। দিল্লিতে শেখহাসিনা নানা আনুষ্ঠানিক বাঅনানুষ্ঠানিক বৈঠকে তা উল্লেখ করতেভোলেননি। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এরই মধ্যে বাংলাদেশেরঅনেক ইস্যুতে ঐকমত্য হলেও দুই দেশেরমধ্যে অনেক বিষয়ে অবিশ্বাসরয়েই যাবে, কারণ যুক্তরাষ্ট্রের অতীতইতিহাস খুব ভালো নয়।
বাংলাদেশের স্থিতিশীলতার ওপর সব উন্নতদেশের দৃষ্টির অন্য আরেকটি কারণহচ্ছে, দেশটি শেখ হাসিনার নেতৃত্বেবর্তমানে এই অঞ্চলের একটিঅর্থনৈতিক শক্তি হয়ে উঠছে। বিশ্বেযার বর্তমান অবস্থা ৩২তম। আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, ২০৩০ সাল নাগাদদেশটি বিশ্বের নবম, কারো কারোমতে তৃতীয় ভোক্তা পণ্যের বাজার হয়ে উঠবে। জার্মানিবা যুক্তরাজ্যও পেছনে থাকবে। এর অন্যতম কারণবাংলাদেশের বিরাট জনসংখ্যা, যার একটি বড়অংশ অর্থনৈতিকভাবে মধ্যবিত্ত। তারাই হবে এই ভোক্তাপণ্যের ক্রেতা। যুক্তরাষ্ট্র, চীন বা ভারতকিংবা অন্য যেসব দেশভোক্তা পণ্য উৎপাদন করেতাদের তো বাংলাদেশের ওপরনজর থাকাটা স্বাভাবিক।
বর্তমানের এই অবস্থা ধরেরাখতে হলে এই দেশেচাই একটি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, চাই সন্ত্রাস আর জঙ্গিবাদমুক্ত বাংলাদেশ, যার নিশ্চয়তা এরই মধ্যে শেখহাসিনা দিয়েছেন। কয়েক দিন পরতিনি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেবেন। সেখানেওতিনি দেশের কথা বলবেন, বিশ্বেশান্তির কথা বলবেন, যুদ্ধবন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট সবারপ্রতি আহবান জানাবেন, পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণগুলো উল্লেখ করে তার জন্যযারা দায়ী তাদের সচেতনকরবেন। তিনি পিতার কণ্ঠেইকথা বলবেন।
এখন আর বাংলাদেশকে অন্যকোনো দেশে চেনাতে হয়না। শেখ হাসিনার ছবিদেখে মানুষ বলতে পারে তিনিকোন দেশের প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশ কোনো একটি আন্তর্জাতিকসংস্থার সদস্য না হলেও সেখানেএই দেশের প্রধানমন্ত্রীর ডাক পড়ে। তিনিইএখন বাংলাদেশ। তবে তাঁর সামনেঅনেক চ্যালেঞ্জ। যত না বিরোধীশিবির থেকে, তার চেয়ে বেশিদলের অনেক সুযোগসন্ধানী নেতাথেকে, যাঁরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদদখল করে আছেন।
২৮ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনার জন্মদিন।তা তিনি সাধারণত পরিবারেরসঙ্গে পালন করেন। তাঁকেজন্মদিনের আগাম শুভেচ্ছা। আপনিইতো বদলে দিয়েছেন ৩০লাখ শহীদের রক্তে অর্জিত বাংলাদেশকে।
লেখক : বিশ্লেষক ও গবেষক
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন