বদি যে ইয়াবা গডফাদার তার প্রমাণ চান ওবায়দুল কাদের

কক্সবাজারের টেকনাফের সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি যে ইয়াবার গডফাদার, তার প্রমাণ চাইলেন ওবায়দুল কাদের। বলেছেন, প্রমাণ পেলে বদির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।

রবিবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা মেট্রোরেল প্রকল্পের প্যাকেজ-৭ এর চুক্তি সই অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

আবদুর রহমান বদির ওমরাহ করতে সৌদি আরব যাওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সড়ক মন্ত্রী বলেন, ‘বদির মতো আরও কত বদি এ দেশে আছে। বদি মাদকের গডফাদার এটা আপনি সরাসরি বলতে পারেন, প্রমাণ কী? প্রমাণ করুন। প্রমাণিত হলে বদিকেও ছাড় দেয়া হবে না।’
গত ৪ মে সারাদেশে মাদকবিরোধী সাঁড়াশি অভিযানে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ব্যাপক প্রাণহানির পর সংসদ সদস্য বদির প্রসঙ্গটি সামনে এসেছে। তিনি ইয়াবা চক্রের হোতা বলে যে প্রচার আছে তা উল্লেখ করে বদির বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না তা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এবং ওবায়দুল কাদেরকে একাধিক দিন সাংবাদিকদের জেরার মুখে পড়তে হয়েছে।

দুই মন্ত্রীই এর আগে একাধিকবার বলেছেন, বদির বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, কিন্তু ব্যবস্থা নেয়ার মতো প্রমাণ নেই।

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে কক্সবাজার-৪ আসন থেকে জয়ী বদির বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ইয়াবা কারবারে সম্পৃক্ততার অভিযোগ জমা পড়ে ২০১০ সালেই। পরে বিজিবির তালিকাতেও তার ও তার ঘনিষ্ঠদের নাম আসে। যদিও পরে সর্বশেষ তালিকা থেকে তার নাম বাদ পড়ার তথ্যই পাওয়া গেছে।

এর মধ্যে ৩১ মে ওমরাহ করতে চার সহযোগীসহ সৌদি আরব গেছেন সাংসদ বদি। এ নিয়েও ফেসবুকে রসালো আলোচনা চলছে।

বদি যদি ১৭ জুন দেশে ফেরার কথা জানিয়েছেন, তারপরও তার ফেরা নিয়ে দেশবাসীর মনে যে সংশয় আছে, সেটি ফেসবুকে লেখনিতেই স্পষ্ট।

সৌদি আরব যাওয়ার আগে একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বদি দাবি করেছেন, তিনি ইয়াবা সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ায় তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে।

বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বদিকে ইয়াবা চক্রের সন্দেহভাজন উল্লেখ করে তাকে দেশ ছেড়ে যেতে দেয়ার সমালোচনা করেছেন।

সাংবাদিকদেরকে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই অভিযানে প্রাণহানি বিষয়ে বুদ্ধিজীবীরা সমালোচনা করলেও সরকারের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। সমালোচনায় অভিযান থামবে না।