বধূবেশের নগ্ন ছবি তুলে প্রাণ শঙ্কায় আলোকচিত্রী
এক তরুণীর বধূবেশের নগ্ন ছবি তুলে বিপাকে পড়েছেন পেশাদার এক আলোকচিত্রী। মাথা কেটে নেয়া থেকে শুরু করে প্রকাশ্যে খুনের হুমকি পাচ্ছেন তিনি। প্রতিনিয়ত ফোনে হুমকি দেয়া হচ্ছে তাকে। এমন অবস্থায় ওই আলোকচিত্রী শেষ পর্যন্ত থানা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়ার পর এ ঘটনায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয় পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায়। ঘটনার শুরু তিনদিন আগে। কলকাতার আলোকচিত্রী প্রীতম মিত্র পাঁচ বছর ধরে ওয়েডিং ফটোগ্রাফি করছেন। প্রীতমের তোলা ওই ছবি বং ক্রাশ নামের এখটি ফেসবুক পেইজে শেয়ার হতেই শোরগোল পড়ে যায়।
ছবিতে দেখা যায় এক তরুণী নগ্ন অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছেন। মুখ ঢাকা রয়েছে পান পাতায়। পানের পাতার ফাঁক গলে উঁকি দিচ্ছে তরুণীর কাজল কালো চোখ। কপালে লাল টিপ, মাথায় বধূ সাজের মুকুট। এলোকেশী তরুণীর হাতে সিঁধুর কৌটা; যা দিয়ে তিনি ঢেকে রেখেছেন যৌনাঙ্গ।
এই ছবি পোস্ট হওয়া মাত্রই শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। অনেকেই ছবিটির প্রশংসা করেছেন। কেবল তরুণরাই নয়, অনেক তরুণীও প্রীতমের ভাবনাকে বাহবা দিয়ে তার ছবিশৈলীকে শেয়ার করেছেন নিজেদের ফেসবুক অ্যাকাউন্টের দেয়ালে। অনেকেই আবার তীব্র ভর্ৎসনাও করেছেন।
শিল্পের নামে নোংরামির অভিযোগ এনেছেন ওই আলোকচিত্রীর বিরুদ্ধে! তবে সবটুকুই ছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কথার লড়াই। সমস্যা শুরু হয় রাজ সরকার রিঙ্কু নামের এক যুবকের প্রোফাইলে ওই ছবি পোস্ট হওয়ার পর থেকে।
ওই যুবকের প্রোফাইলে প্রীতমের তোলা ছবির সঙ্গেই জুড়ে দেওয়া হয় হিন্দু ভাবাবেগকে। ছবির ক্যাশপনে এই তরুণ লেখেন, হিন্দু মা, বোনদের নোংরা ছবি তোলা হচ্ছে। পুলিশ প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। একই সঙ্গে প্রীতমের মাথার দাম ঘোষণা করা হয়।
তার এই পোস্ট ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর থেকে কট্টরপন্থী হিন্দুত্ববাদীরা ফোন করে হত্যার হুমকি দিতে শুরু করেন যাদবপুরের বাসিন্দা প্রীতমকে। টানা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগার পর শেষ পর্যন্ত পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। জিনিউজ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন