বননির্ভর জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল সংরক্ষণ বিষয়ক কর্মশালা


বননির্ভর জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল সংরক্ষণ বিষয়ক কর্মশালা বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সকালে আরণ্যক ফাউন্ডেশন ও হিল ফ্লাওয়ার এর আয়োজনে রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার।
কর্মশালায় সিনিয়র বন ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ অসিত রঞ্জন পাল, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ বিশেষজ্ঞ মোঃ বখতিয়ার নূর সিদ্দিকী, হিল ফ্লাওয়ার এনজিও নির্বাহী পরিচালক ড. নীল কুমার তঞ্চঙ্গ্যা সহ সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, এনজিও প্রতিনিধি সহ প্রকল্পের কাজে সহায়ক ব্যক্তিগর্ণ ছিলেন।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে বন ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ, স্থানীয় জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক সমস্যা নিরসণ, সম্ভাব্য পরিবেশ সংরক্ষণ ব্যবস্থা, বিকল্প আয় সৃষ্টির সুযোগ এবং উন্নয়ন সম্পর্কিত কার্যাবলি বাস্তবায়ন করা। এছাড়াও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সহায়তায় ও তাদের টেকসই জীবিকায়ন ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রকল্প এলাকায় বন ও বন্যপ্রাণীর আবাসস্থলের উপরে বিদ্যমান হুমকিসমূহ কমানো।
বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত পার্বত্য চট্টগ্রাম। এ অঞ্চলটি তিন পার্বত্য জেলা (রাঙ্গামাটি খাগড়াছড়ি বান্দরবান) নিয়ে গঠিত।এ অঞ্চলে বিভিন্ন সম্প্রদায় বসবাস করে। এই জনগোষ্ঠীগুলো মূলত বনজ সম্পদ ও কৃষি (জুম) এর উপর নির্ভরশীল। বিগত কয়েক দশক ধরে, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, আর্থসামাজিক অবস্থা ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তন সহ নানাবিধ কারণে এই অঞ্চলের বনভূমি ও বনজ সম্পদের উপরে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
যার ফলে ওই অঞ্চলে ইতঃপূর্বে সহজলভ্য বনজ সম্পদ এবং বন নির্ভর জনগোষ্ঠীগুলো চাহিদা অনুযায়ী বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও খাদ্যশস্য উৎপাদন কমে গেছে যা স্থানীয় সম্প্রদায়গুলোর ঐতিহ্যবাহী জীবনযাপনকে ব্যাহত করছে।
অত্র এলাকার স্থানীয় সম্প্রদায়ের জীবন ও জীবিকার মান উন্নয়ন এবং একই সাথে বন ও বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে “আরণ্যক ফাউন্ডেশন” একটি প্রকল্প ধারণা তৈরি করে এবং আইইউসিএন কর্তৃপক্ষের নিকট জমা দেয়। উক্ত ধারণা পত্রে রাঙ্গামাটি জেলার কাসালং ও পাবলাখালী এবং বান্দরবন জেলার সাঙ্গু-মাতামুহুরি বনাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন এলাকাকে প্রকল্প এলাকা হিসেবে প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করা হয়।
পরবর্তীতে, আইইউসিএন কতৃপক্ষ এই বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রকল্প প্রস্তাব প্রস্তুত করে দাখিল করার জন্য আরণ্যক ফাউন্ডেশনকে একটি গ্রান্ট প্রদান করে।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন