বনবিভাগের মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন
রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. নাছির উদ্দিন এর বন বিভাগ কর্তৃক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করার দাবীতে কাপ্তাই উপজেলা যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও ছাত্রলীগের ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) কাপ্তাই জেটিঘাটস্ত কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়ে বেলা ১২ টায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এম নুর উদ্দিন সুমন।
লিখিত বক্তব্যে এম নুর উদ্দিন সুমন দাবী করেন, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ নাছির উদ্দিনের ব্যবসায়িক সফলতায় ও রাজনৈতিক বিচক্ষণতায় ঈর্ষাণ্বিত হয়ে একটি বিশেষ মহল বন বিভাগের কতিপয় কর্মকর্তার সাথে যোগসাজশে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়। তিনি ব্যবসায়িক কারনে লক্ষ লক্ষ টাকা বন বিভাগকে রাজস্ব দেন, অথচ তাকেই কাঠ পাচারের মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র মূলক মামলায় জড়ানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো দাবী করেন, বন মামলার এজাহারে গাছের বেড় ৭-০ ফুট উল্লেখ করা হয়েছে, কিন্ত সরেজমিনে একটি ১০ ফুট ২ ইঞ্চি বেড়ের গাছ জব্দ আলামত হিসাবে প্রদর্শিত হয়েছে, যা চরম ষড়যন্ত্র। জব্দকৃত সেগুন কাঠের সরকারি গড় ম‚ল্য বাস্তবে প্রতিফুটে ১৬০০ টাকা হলেও মামলার মেরিট তৈরী করার প্রমাণ হিসাবে ৫ হাজার টাকা প্রর্দশন করা হয়েছে, যা নাছির উদ্দিন কে বেআইনি ভাবে সাজা প্রদানের জন্য সুবিধা নেওয়া হয়েছে, এইছাড়া জব্দকৃত কাঠের দৈর্ঘ্য ২৫ ফুট উল্লেখ করা হয়েছে, কিন্ত গাছটি মাত্র ২২ ফুট ৫ ইঞ্চি। এইছাড়া ৮৬৬ ঘনফুট সেগুন গোল কাঠ অপসারণের বিষয়ে আদালতে তথ্য প্রদান করা হয়েছে, যা বাস্তবে অসম্ভব। দূর্গম পাহাড়ে ৮৬৬ ঘনফুট কাঠ অপসারণে যেখানে ৩০ জন শ্রমিকের ন‚ন্যতম ৬০ দিন সময় লাগে সেখানে কিভাবে তিনি সংরক্ষিত বনে একা প্রবেশ করে নিজ হাতে সেগুণ গাছ কর্তন করতে পারে।
মহান সংবিধান ও সত্যের আড়ালে একজন ন্যায় ও নিরীহ সম্মানিত ব্যক্তিকে এই মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে এবং মিথ্যা মামলা হতে অব্যাহতি প্রদান ও এর সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে।
এই সময় কাপ্তাই উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ফজলুল কাদের মানিক, সাধারণ সম্পাদক একরামুল হকসহ কাপ্তাই উপজেলা ও ইউনিয়ন এর যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. নাছির উদ্দিনকে বিজ্ঞ আদালতে উপস্থাপিত অভিযোগ এর ভিত্তিতে বন মামলা নং -০৭/২০১৮(দঃ) এর প্রেক্ষিতে ত্রিশ লাখ টাকা জরিমানা ও ৩ বৎসের সশ্রম কারাদন্ড এবং অনাদয়ে ৯ মাসের জেল প্রদান করা হয়, যার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ইতিমধ্যে গ্রেফতার হন এবং রাঙ্গামাটি জজ কোর্ট হতে তিনি জামিনে রয়েছেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন