বনানীতে ধর্ষণ, পরীক্ষা করা হচ্ছে তরুণীর সালোয়ার-কামিজ
বনানীর ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে দুই তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় এক ভিকটিমের সালোয়ার-কামিজের রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য অনুমতি দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১১ মে) ঢাকা মহানগর হাকিম দেলোয়ার হোসেন এ আদেশ দেন।
বনানী থানার ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) মোহাম্মদ আব্দুল মতিন জানান, মামলা দায়ের করার সময় ধর্ষণের আলামত হিসেবে এক ভিকটিমের সালোয়ার-কামিজ জব্দ করা হয়েছিল। তাতে কোনো ধরনের পুরুষের বীর্য আছে কিনা, তা রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য আদালতের কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, ধর্ষণের অভিযোগে (৬ মে) দুই তরুণী বনানী থানায় মামলা দায়ের করেন। আসামিরা হলো- আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ, নাঈম আশরাফ, সাদমান সফিক, ড্রাইভার বিল্লাল ও সাফাত আহমেদের বডিগার্ড।
এজাহারে বলা হয়, সাদমান সফিক তাদের পূর্ব পরিচিত। ঘটনার ১০-১৫ দিন আগে গুলশান-২ নম্বরের ৬২ নম্বর রোডের ২ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদের সঙ্গে পরিচয় হয় তাদের। জন্মদিনের দাওয়াত দিয়ে গত ২৮ মার্চ সাফাত আহমেদ তার গাড়ি পাঠিয়ে ড্রাইভার ও বডিগার্ডের মাধ্যমে তরুণীদের বাসা থেকে বনানীর রেইনট্রি হোটেলের ছাদে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানে যাওয়ার পর কোনো ভদ্র লোককে তারা দেখতে পায়নি। পরিবেশ ভালো না লাগায় তারা চলে যেতে চাচ্ছিলেন। এক পর্যায়ে তাদের দু’জনকে একটি কক্ষে নিয়ে জোরপূর্বক মদ্যপান করিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। এ সময় সাফায়াতের নির্দেশে তার ড্রাইভার বিল্লাল ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও করে। পরবর্তীতে সাফাত তার দেহরক্ষীকে তরুণীদের বাসায় পাঠিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে ও ভয়ভীতি দেখায়। তাদের হুমকি ও লোকলজ্জার ভয়ে এক পর্যায়ে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন তারা। এ কারণে মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন