বনানীর ধর্ষণ : সাফাতসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
বনানীর আলোচিত ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাফাত আহমেদ’সহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের নারী সহায়তা ও তদন্ত বিভাগের পরিদর্শক ইসমত আরা এমি। তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অভিযুক্ত পাঁচজন হলেন- আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ, তার বন্ধু সাদমান সাকিফ, নাঈম আশরাফ, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী রহমত আলী।
গত ২৮ মার্চ বনানীর ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে সাফাত আহমেদ নামে এক বন্ধুর জন্মদিনে যোগ দিতে এসে বন্ধুদের যোগসাজশে ধর্ষণের শিকার হন দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী।
ধর্ষণের শিকার ওই দুই ছাত্রী ৬ মে সন্ধ্যায় বনানী থানায় ধর্ষণের অভিযোগে পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন।
গ্রেফতারের পর আসামিরা সবাই ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
বনানী থানা পুলিশ প্রথমে মামলা নিতে গড়িমসি করে বলে অভিযোগ করেন ধর্ষিতাদের একজন। এরপর আসামি ধরতেও পুলিশের অনীহার অভিযোগের মুখে মামলার তদন্তভার পুলিশের উইমেন ভিকটিম সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেনশনকে দেয়া হয়।
বনানীতে আবাসিক এলাকায় কে ব্লকের ২৭ নম্বর সড়কের ৪৯ নম্বর বাড়িতে রেইনট্রি হোটেলের মালিকানায় আছে আওয়ামী লীগের সাংসদ বিএইচ হারুনের পরিবার। হোটেলের পরিচালনা পর্ষদে থাকা চার তার ছেলের মধ্যে এইচ এম আদনান হারুন আছেন ওই হোটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে। তবে দেখাশোনা করেন তার ভাই মাহির হারুন।
মাহিরের বন্ধু পরিচয় দিয়েই সাফাত ধর্ষণের ঘটনার দিন ওই হোটেলে উঠেছিলেন বলে হোটেলকর্মীরা পুলিশকে জানিয়েছেন।
বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল মতিন বলেন, ৪০ দিন আগে ধর্ষণের শিকার ওই দুই ছাত্রী বিপর্যস্ত ছিলেন। মামলা করলে কিংবা আইনের আশ্রয় নিলে ও পুলিশ- র্যাবকে জানালে তাদের হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয়া হচ্ছিল। যে কারণে মামলা করতে সাহস পাননি বলে জানিয়েছেন তারা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন