বন্ধুত্ব রক্ষা করতে হলে বাংলাদেশের স্বার্থ বিবেচনা করতে হবে: তারেক রহমান


‘বন্ধুত্ব রক্ষা করতে হলে বাংলাদেশের স্বার্থ বিবেচনা করতে হবে’ মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন,‘বাংলাদেশের জনগণ মনে করে প্রতিবেশী দেশের (ভারত) সঙ্গে আমাদের যে অন্যায্য চুক্তি আছে, সেগুলো বাতিল করতে হবে।
প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব রক্ষা করতে হলে অবশ্যই বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থের কথা বিবেচনা করতে হবে।’মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) তিস্তা নদীর পাড়ে পাঁচটি জেলার ১১টি পয়েন্টে তিস্তা পানির ন্যায্য হিস্যা ও মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে টানা ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচিতে নীলফামারীর তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টের হ্যালিপ্যাড মাঠে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন,‘ আগস্টে খুনি স্বৈরাচারী দেশ থেকে পালিয়ে গেছে। এ স্বৈরাচার একদিন একটি কথা বলেছিল ভারতকে যা দিয়েছি তা তারা (ভারত) সারা জীবন মনে রাখবে। তাই এ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত শুধু স্বৈরাচারকে মনে রেখেছে বাংলার মানুষকে মনে রাখেনি। প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে কিছু দেয় নাই শুধু দিয়েছে স্বৈরাচারকে।
প্রতিটি দেশেরই তাদের প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বা ঝামেলা থাকে। কিন্তু সেগুলোকে কূটনৈতিকভাবে সমাধান করা হয়। যেটা আমাদের এখানে এতদিন হয়নি। ’তারেক রহমান আরও বলেন,‘তিস্তার ন্যায্য পানি আদায়ের জন্য আজকে আমাদের আন্দোলন করতে হচ্ছে। এ পানি বণ্টন নিয়ে আমাদের প্রতিবেশী দেশ অপ্রতিবেশীমূলক আচরণ করছে। ৫০ বছর ধরে ফারাক্কার অভিশাপ থেকে বাংলাদেশ মুক্তি পাই নাই।
এখন আবার এসেছে তিস্তার অভিশাপ। প্রতিবেশী দেশ যদি আমাদের তিস্তার ন্যায্যতা না দেয় তাহলে তাদের দিকে তাকিয়ে থাকা যাবে না। আমাদেরটা আমাদেরই চিন্তা করতে হবে। দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আবার নতুন করে শুরু করতে হবে।’মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন নিয়ে তারেক রহমান বলেন,‘বিএনপি যখন ক্ষমতায় আসবে তখন এ তিস্তার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করবে।
পাশাপাশি দেশের অন্যান্য যেসব নদী আছে সেগুলোকে আমাদের পুনরায় সংস্কার এবং খনন করতে হবে। শহীদ জিয়ার সেই খাল খনন কর্মসূচি আমাদের পুনরায় হাতে নিতে হবে।’দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচিতে অন্যান্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বক্তব্য দেন। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আ.খ.ম আলমগীল সরকার ও সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন সাধারন সম্পাদক জহুরুল আলম।
কুরআন তেলোয়াত করেন জেলা আইনজীবী ফোরামের সাধারন সম্পাদক নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের পাবলিক প্রসিকিউটর আসাদুজ্জামান খান রিনো।
এছাড়াও জেলা বিএনপির সহ সভাপতি মাহবুবুর রহমান মাহবুব, রাহেদুল ইসলাম দোলন ,নীলফামারী আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ও পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট আল মাসুদ চৌধুরী, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি মোস্তফা হক প্রধান বাচ্চু, মীর সেলিম ফারুক, মুক্তার হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা রঞ্জু, সাংগঠনিক সম্পাদক শেফাউল জাহাঙ্গীর শেপু, ডিমলা উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ মনোয়ার হোসেন।
সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম রব্বানী প্রধান, ডোমার উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেয়াজুল ইসলাম কালু, সাধারণ সম্পাদক সুমন ইসলাম,জলঢাকা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ময়নুল ইসলাম,জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রেদওয়ানুল হক বাবু, নীলফামারী পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক লুতফুল আলম চৌধুরী শুভ।
সদর উপজেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তারুজ্জামান আক্তার,কৃষক দলের আহবায়ক মুগনি মাসুদুল আলম দুলাল,সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিউর রহমান হেলাল,জেলা যুবদলের সভাপতি এ এইচ এম সাইফুল্লাহ রুবেল, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত চৌধুরী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবু সুফিয়ান রুমেল, জেলা মহিলাদলের সভাপতি তাসনিম ফৌজিয়া ওপেল, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি নুর আলম, সাধারন সম্পাদক জামিয়ার রহমান,পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক শিহাবুজ্জামান চৌধুরী সিহাব সহ আরও অনেকে ৪৮ ঘন্টার কর্মসূচিতে অংশগ্রহন করেন।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন