বন্ধ থাকার পরও ফেসবুকে একটিভ প্রতিমন্ত্রী পলক, যে ব্যাখ্যা দিলেন
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ ফিরলেও মেটার প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ এবং টিকটক বন্ধ রয়েছে। কিন্তু ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক নিজে এসব প্ল্যাটফর্মে সক্রিয় রয়েছেন। কিন্তু সাধারণ মানুষ এসব থেকে বিচ্ছিন্ন। এ নিয়ে সমালোচনা রয়েছে নাগরিকদের মধ্যে। পরে তিনি এ বিষয়ে গণমাধ্যমে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে জুনাইদ আহ্মেদ পলক শনিবার (২৭ জুলাই) গণমাধ্যমকে জানান, গুজব প্রতিরোধে মানুষকে সঠিক তথ্য জানাতে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় রয়েছেন।
তিনি আরও জানান, তিনিসহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোও এভাবে সক্রিয় থাকতে পারবে।
জানা যায়, ২৩ জুলাই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালুর পরপরই প্রতিমন্ত্রী নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে পোস্ট দেওয়া শুরু করেন। তিনি প্রতিনিয়তই নিজের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের তথ্য নিজের ফেসবুকে পোস্ট করে আসছেন। এছাড়া বিভিন্ন আয়োজনের সরাসরি সম্প্রচারও করছেন তিনি। ইনস্টাগ্রামেও তিনি সক্রিয় রয়েছেন। এ ছাড়া তার ভেরিফায়েড টিকটক অ্যাকাউন্ট থেকেও তিনি পোস্ট করছেন।
এদিকে বাংলাদেশের সংবিধান ও আইন মানলে ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে দেশে উন্মুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছিলেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক।
ফেসবুকেরমতো যেসব প্ল্যাটফর্ম বন্ধ রয়েছে, সেগুলো মূলধারার গণমাধ্যম ব্যবহার করতে পারলে গুজব ঠেকাতে সহায়ক হতো কি না, তা জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ ব্যাপারে তারা ভাবছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো কবে বাংলাদেশে সবার জন্য চালু হবে, তা জানতে চাইলে জুনাইদ আহ্মেদ বলেন, এটা ফেসবুক, টিকটকই বলতে পারবে। তারা বাংলাদেশের সংবিধান, আইন মানবে কি না এবং নিজেদের যে গাইডলাইন আছে, সেটা ঠিকমতো মেনে চলবে কি না, এসব নিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারা যদি এসে ব্যাখ্যা দিয়ে যায়, তখন সরকার চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন