বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ৪৬২ কিলোমিটার সড়ক

উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও অতি ভারি বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় ফেনী, কুমিল্লা, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজারসহ ১২ জেলার ৪৬২ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

গত ২০ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া এ বন্যায় কুমিল্লা, সিলেট ও চট্টগ্রাম জোনের সড়ক নেটওয়ার্কের প্রাথমিক ক্ষতির এ চিত্র উঠে এসেছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে।

সাম্প্রতিক বন্যায় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের বিভিন্ন সড়ক বিভাগের ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক, সেতু, কালভার্টের তথ্য সড়ক ভবনে স্থাপিত বন্যা তথ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়েছে। আর তা প্রতিবেদন আকারে পাঠানো হয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে।

এতে বলা হয়েছে, তিনটি জোনের মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি সড়ক বিভাগের ১১১টি সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের দৈর্ঘ্য ৪৬২ দশমিক ২১ কিলোমিটার।

সড়ক ও জনপথ জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের মধ্যে ৯০ দশমিক ৬৩ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক, ৫২ দশমিক ৮৮ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়ক এবং ৩১৮ দশমিক ৭০ কিলোমিটার জেলা মহাসড়ক।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অতিবৃষ্টিজনিত বন্যা ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে বিভিন্ন স্থানে সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। বন্যার পানির তোড়ে বিভিন্ন সড়ক আংশিকভাবে ভেসে গেছে, সড়ক বাঁধ ধসে পড়েছে। বিভিন্ন সড়কের উপরিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে খানাখন্দ তৈরি হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামে ১০ কিলোমিটার অংশ এখনও পানির নিচে। ভূমিধসের কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন পাহাড়ি সড়কে যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে।

অধিদপ্তরের রক্ষণাবেক্ষণ সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জিকরুল হাসান বলেন, “এখন পর্যন্ত যেটা পাওয়া গেছে, সেগুলো প্রাথমিক তথ্য। পানি সরে গেলে ক্ষয়ক্ষতির পুরো চিত্র পাওয়া যাবে। এটা খুবই প্রাথমিক প্রতিবেদন। বন্যার কারণে এখনও অনেক জায়গায় যাওয়া যাচ্ছে না।

“পানি সরে গেলে আমরা লোক পাঠাব, তখন প্রকৃত অবস্থাটা বোঝা যাবে। বিভিন্ন জেলা থেকে আসা তথ্যগুলো আমরা কমপাইল করে মন্ত্রণালয়ে পাঠাচ্ছি। আর বন্যার পানি সরে গেলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক মেরামত শুরু করব।”