বন্যার পানি কমলেও বেড়েছে দুর্ভোগ

জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। দ্রুত গতিতে কমছে যমুনার পানি। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি ৪৫ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যন্য নদ-নদীর পানিও কমছে সমানতালে। জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাঈদ।

জেলার বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে পানি কমতে শুরু করলেও বেড়েছে দুর্ভোগ। বাড়িঘর থেকে এখনও পানি নামেনি। বানভাসিদের বাড়িঘরে ফিরতে আরও দু’একদিন সময় লাগবে। হাতে কাজ নেই, ঘরে মজুদ করে রাখা খাবারও পানিতে ভেসে গেছে। তাই খাদ্য সংকট ও বিশুদ্ধ পানির অভাবে চরম দুর্ভোগের মধ্যদিয়ে দিন কাটছে বানভাসদের।

বন্যায় প্লাবিত এলাকা ছাড়াও জেলায় ভারী বর্ষণের কারণে নিম্নাঞ্চলে পানি আটকে পড়ায় ১০৩টি প্রাথমিক ও ২২টি মাধ্যমিক স্কুলে পাঠদান সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জেলা শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়।

জেলা প্রশাসনের বরাদ্ধকৃত ত্রাণ চাহিদার তুলনায় খুবই অপ্রতুল। ত্রাণের আশায় এদিক সেদিকে ছুটাছুটি করছে বানভাসি মানুষজন। অন্যদিকে, ত্রাণের কোনো সংকট নেই, পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ রয়েছে বলে জানালেন জামালপুরের জেলা প্রশাসক শ্রাবন্তি রায়।

তিনি জানান, জেলাজুড়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে এ পর্যন্ত সরকারিভাবে ৪৭০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ এখনও মজুদ রয়েছে।