বরিশালে এক প্রবাসীর স্ত্রী ফেসবুকে চিরকুট লিখে আত্মহত্যা করেছে
পটুয়াখালীর জেলার বাউফলে প্রবাসীর স্ত্রী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি চিরকুট লিখে পোস্ট করে আত্মহত্যা করেছে। এতে লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
রোববার (০১ জানুয়ারি) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে পরিবার ও স্থানীয়রা মিলে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ওই স্ত্রীর নাম ইশরাত জাহান শিমুল (২৫), তিনি বাউফল উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোসিংগা গ্রামের মোঃ নজরুল মৃধার স্ত্রী। এবং কালাইয়া ইউনিয়নের কালাইয়া গ্রামের বাসিন্দা বাবুল সিকদারের মেয়ে। তার দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
ইশরাত জাহান শিমুলের স্বজনরা জানান, শিমুলের স্বামী ঢাকাতে একসময় সিটের ব্যবসা করতো। বিভিন্ন ব্যাংক থেকে লোন নেন এবং বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ধারদেনা হয়ে যায়। কিন্তু তাতেও সামাল না দেওয়ায় করোনার দুই বছর তার ব্যবসায় ধ্বস নামে। পরে ঢাকা ছেড়ে গ্রামে এসে তার স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুর বাড়ি কালাইয়া থাকে। আজ থেকে ৬ মাস পূর্বে দুবাই প্রবাসী হন। পরে লোকজনের ধারদেনা আস্তে আস্তে তার শ্বশুর পরিশোধ করলে কিছুদিন আগে ব্যাংকের লোকজন ঢাকা থেকে গাড়ি নিয়ে গ্রামে এসে লোন পরিশোধ করতে চাপসৃষ্টি করেন। হয়তো এতে মানসিক ভাবে দুর্বল হয়ে এমন কাজ করতে পারে।
লাশ উদ্ধারকারী পুলিশ কর্মকর্তা এসআই আবুল বাশার জানান, স্বজনরা স্থানীয়দের নিয়ে লাশ উদ্ধার করে বাউফল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিমুলকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তারা লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়ি কালাইয়াতে গেলে থানা পুলিশ খবর পায়। পরে লাশ উদ্ধার পূর্বক মৃত শিমুলের ব্যবহারকৃত একটি এন্ডুয়েড মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়। তাতে দেখা যায়, শিমুলের ফেসবুক আইডিতে একটি চিরকুট লেখা পোস্ট করা হয়েছে তার ছোট বোন ফাইজা জাহান শিলা নামের আইডিতে ট্যাগ করা।
এদিকে ইশরাত জাহান শিমুলের মামা করিম হোসেন জানান, শিলা রাতে ঘুমিয়ে থাকায় তার ফেসবুক আইডিতে বড় বোন শিমুলের চিরকুট লেখা দেখতে পায়নি। তবে ভোরে উঠে শিলা তার মোবাইল ওপেন করতেই চিরকুট লেখা দেখে দ্রুত উঠে তার বাবা মাকে নিয়ে এসে দেখে শিমুলের রুমের দরজা খোলা। এবং ভীতরে শিমুল ফ্যানের সাথে তার গায়ের ওড়না গলায় পেচিয়ে ঝুলে আছে। ততক্ষণাত ডাকচিৎকার দিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় হাসপাতাল নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বাউফল থানার ওসি আল মামুন বলেন, পোস্টমর্টেমের জন্য লাশ পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে রিপোর্ট ছাড়া কিছু বলা যাচ্ছে না।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন