বরিশালে রাতে অন্যের স্ত্রীর ঘরে গিয়ে ধরা পড়ল দারোগা
স্বামীর অবর্তমানে এক গৃহবধূর ঘরে গিয়ে ফেঁসে গেছেন বরিশাল নগরীর এয়ারপোর্ট থানার দারোগা (এসআই) মাইনুল ইসলাম। জনতার অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে উদ্ধারের পর তাকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার (ক্লোজ) করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, নগরীর গোরস্থান রোডের খাদিজা মনোয়ার মঞ্জিলের তৃতীয় তলায় (জুই-৩) গৃহবধূর ফ্ল্যাটে গিয়ে অবরুদ্ধ হন এসআই মাইনুল। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। গৃহবধূর নাম জেবুন্নেছা আক্তার (৩০)। সে বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশা ইউপির শামীম তালুকদারের স্ত্রী।
শামীম তালুকদার জানান, ২০০৮ সালে জেবুন্নেছাকে তিনি বিয়ে করার পর তারা বাসা ভাড়া করে থাকতে শুরু করেন। সাদমি (৮) নামে তাদের একটি সন্তান রয়েছে। এরই মধ্যে তিনি লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হন। এরপর চিকিৎসার জন্য দীর্ঘদিন তাকে ঢাকায় অবস্থান করতে হয়। এই সুযোগে এয়ারপোর্ট থানার এসআই মাইনুলের সঙ্গে তার স্ত্রী জেবুন্নেছার সখ্য গড়ে ওঠে। তিনি স্ত্রীকে এ পথ থেকে সরে আসার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু এতে কাজ হয়নি। বরং এতে ক্ষিপ্ত হয়ে এসআই তাকে নানাভাবে হুমকি দিতে থাকে। সাত-আট মাস আগে জেবুন্নেছা তার ভাড়া বাসা ছেড়ে খাদিজা মনোয়ার মঞ্জিলের তৃতীয় তলায় এক ফ্ল্যাটে ওঠে। এরপর প্রতিরাতেই এসআই মাইনুল ওই ফ্ল্যাটে এসে অবস্থান করে। বিষয়টি তিনি সন্তানের কাছ থেকে জানতে পারেন।
শামীম আরও জানান, মঙ্গলবার রাতে তিনি এসআই মাইনুলকে বাজার নিয়ে ওই ফ্ল্যাটে প্রবেশ করতে দেখেন। এই সুযোগে তিনি এলাকার লোকজন নিয়ে ওই ফ্ল্যাটের দরজা তালা দিয়ে আটকে দেন এবং বিষয়টি এয়ারপোর্ট থানাকে জানান। পরে ওই থানার ওসি (তদন্ত) আবদুর রহমান মুকুল এসে তালা খুলে এসআই মাইনুলকে উদ্ধার করেন। এ সময় এয়ারপোর্ট থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার ফরহাদ সরদার, কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শাহ মো. আওলাদ হোসেনসহ একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযোগ সম্পর্কে জেবুন্নেছা জানায়, তার স্বামী শামীম মাদকাসক্ত। সে তাকে নির্যাতন করত। এ কারণে ৭/৮ মাস পূর্বে সে স্বামীকে তালাক দিয়েছে। এসআই মাইনুল তার বন্ধু। এ কারণে মাঝেমধ্যে দেখা করতে বাসায় আসে। তবে তালাক দেয়ার কোনো কপি পুলিশকে দেখাতে পারেননি জেবুন্নেছা।
জানতে চাইলে মহানগরীর এয়ারপোর্ট থানার ওসি (তদন্ত) এআর মুকুল বলেন, ‘এই ঘটনার পর দারোগা মাইনুলকে লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হবে। কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ব্যবস্থা নেবেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন