বশেমুরবিপ্রবিতে তেল ক্রয় না করেই ভুয়া ভাউচারে টাকা উত্তোলন
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহন দপ্তরে কয়েক বছরে বিভিন্ন উপায়ে একটি সিন্ডিকেট লোপাট করেছে বিপুল অংকের টাকা।
বিভিন্ন সময় তেল চুরি, ভুয়া ভাউচারে টাকা উত্তোলনের সংবাদ প্রকাশের পর গঠন হয় তদন্ত কমিটি, পাওয়া যায় সত্যতা। বশেমুরবিপ্রবি প্রেসক্লাবের পেইজ থেকে কল রেকর্ড ফাঁস ও সে ঘটনায় এশিয়ান টিভির অনলাইনে সংবাদ প্রকাশের পর গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) পরিবহন সংক্রান্ত অনিয়ম তদন্তে গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি। সেই কমিটির সুপারিশে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেয়া হয় বাস চালক আতিকুর রহমান ঝন্টুকে। এছাড়া দপ্তর পরিবর্তন করা হয় উপ-সহকারী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামের। এবার সেই বাস চালকের তেল ক্রয়ের ভুয়া ভাউচারে টাকা উত্তোলন করার প্রমাণ মিলেছে। নিগি ফিলিং এন্ড সিএনজি স্টেশনের ভাউচারে দেখা যায়, ২০২২ সালের ২৮ অক্টোবর তারিখে ৫০ লিটার তেল বাবদ ৬৫১৬ টাকা উত্তোলন করেন। তবে লগ বইয়ে দেখা যায় ২৮ তারিখে কোনো তেল ক্রয় করা হয় নি।
এ ঘটনায় বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্যের দপ্তরে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানিয়েছেন এবং রেজিস্ট্রারকে জানানোর প্রস্তুতি চলছে জানিয়ে পরিবহন প্রশাসক হাশেম রেজা বলেন, বিষয়টি জানতে পেরেছি। কিছু ভাউচারে অমিল পেয়েছি। আতিকুর রহমান ঝন্টু সাময়িক ভাবে সাসপেন্ড রয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে গঠিত তদন্ত কমিটি খুব দ্রুত সময়ে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিবে।
প্রসঙ্গত, গত ৬ মার্চ বশেমুরবিপ্রবি প্রেসক্লাব নামক ফেইসবুক পেইজ থেকে পরিবহন খাতে বিল বাড়িয়ে টাকা ভাগাভাগি করতে চাওয়ার একটি কল রেকর্ড ফাঁস হয়। এরপর এশিয়ান টিভির অনলাইনে সংবাদ প্রকাশের পর গত ২২ মার্চ তদন্ত কমিটি গঠন ও ২ এপ্রিল আতিকুর রহমান ঝন্টুকে সাময়িক অব্যাহতি দেয় প্রশাসন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন