বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন জিয়া : সিইসি
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে রোববার বিএনপির সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতে সকাল ১১টায় সংলাপের শুরুতে লিখিত সূচনা বক্তব্যে সরকার পরিচলনা ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিএনপির ভূমিকা তুলে ধরেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ভূয়সী প্রশংসা করে সিইসি বলেন, ‘বহুমত মত, রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের নিয়ে জিয়াউর রহমান বিএনপি গঠন করেন। পরবর্তীতে বিএনপি সরকার গঠন করে। জিয়াউর রহমান ছয় বছর রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন। তার মধ্যদিয়ে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা হয়।’
তিনি বলেন, ‘১৯৮১ সালের ৩০ মে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর বিএনপি প্রায় নয় বছর আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়েছে। পরে ১৯৯১ সালে সংসদ নির্বাচনে বিএনপি জয়লাভ করে সরকার গঠন করে।’
নুরুল হুদা বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি দ্বিতীয়বারের মত সরকার গঠন করে।’
রাষ্ট্র পরিচালনায় বিএনপির প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি সরকার দেশে বহুবিদ উন্নয়ন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলককরণ, পৃথক প্রাথমিক গণশিক্ষা বিভাগ প্রতিষ্ঠা, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মেয়েদের অবৈতনিক শিক্ষা, র্যা ব (র্যা পিড অ্যাকশন ব্যটালিয়ান) গঠন, দুর্নীতি দমন কমিশন প্রতিষ্ঠা, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা, আইন কমিশন গঠন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩০ বছরে উন্নীতকরণসহ অনেক উন্নয়ন ও সংস্কারমূলক কার্যক্রম বিএনপি সরকার করেছে।’
সিইসি বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের আজকের সংলাপের দিকে জাতি তাকিয়ে রয়েছে। নির্বাচন কমিশনও অধীর আগ্রহ ও অত্যন্ত আন্তরিকতা নিয়ে, অতি ধৈর্য সহকারে অপেক্ষা করছে। কমিশন বিএনপির সঙ্গে সফল সংলাপ প্রত্যাশা করে।’
সিইসির বক্তব্যের মধ্যদিয়ে সংলাপের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। পরে পরিচিত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এরপর মূল সংলাপ শুরু হয়। ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ স্বাগত বক্তব্যে জানান, বিএনপি ১৩ পৃষ্ঠার ২০ দফা প্রস্তাব নিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ধারাবাহিক সংলাপে অংশ নিয়েছে।
এরপর সম্মেলন কক্ষ থেকে গণমাধ্যম কর্মীদের বের হতে অনুরোধ জানানো হয়। গণমাধ্যম কর্মীরা সম্মেলন কক্ষ ত্যাগ করলে ‘ক্লোজড ডোর’ বিএনপির ২০ দফা প্রস্তাবনার উপর বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বিএনপি ১৭ সদস্যের প্রতিনিধিদলের তালিকা দিলেও ১৬ জন উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুলাই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন-সংক্রান্ত রোডম্যাপ প্রকাশের পর ৩০ জুলাই প্রথম ধাপে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, দ্বিতীয় ধাপে ১৬ ও ১৭ আগস্ট গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপ করেছে নির্বাচন কমিশন।
তৃতীয় ধাপে ২৪ আগস্ট রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু হয়। আগামী ১৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগের সঙ্গে ইসি সংলাপ করবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন