বাঁশখালীতে শ্রমিক হত্যার ঘটনায় দোষীদের শাস্তি দাবি ন্যাপের

বাঁশখালীর গন্ডামারা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ঘোনায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে পুলিশের গুলীতে ৫ জন শ্রমিক নিহত ও বহু হতাহতের ঘটনায় তীব্র নিন্দা, ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামি পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ দাবী করেছে এই ঘটনায় দোষীদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে।

রবিবার (১৮ এপ্রিল) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ দাবী জানান।

তারা বলেন, সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে শ্রমিকদের উপর গুলী বর্ষণ করে নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে। কোনো সভ্য দেশে এই ধরনের নির্মমতা কল্পনাও করা যায় না। কয়েক বছর পূর্বেও এই জায়গায় ৪ জন শ্রমিককে গুলী করে হত্যা করা হয়েছিল। অবিলম্বে এই অমানবিক ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক গুলী বর্ষণকারী পুলিশের সদস্যদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং আন্দোলনরত শ্রমিকদের দাবিদাওয়া মেনে নিতে হবে।

নেতৃদ্বয় বলেন, শ্রমিকেরা কর্মঘন্টা কমানো, ছাটাই বন্ধ, পাওনা বেতন পরিশোধসহ ১০ দফা যৌক্তিক দাবিতে শনিবার সকালে যখন মালিক পক্ষের সাথে বৈঠক করছিল তখন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অফিস ঘরের বাইরে সমবেত শ্রমিকদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশের বর্বর হামলা, গুলীবর্ষণে ৫ জন শ্রমিক ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন এবং অর্ধশতাধিক শ্রমিক আহত হন।

তারা বলেন, ‘যেকোনো দাবী দাওয়া পেশ করা শ্রমিকদের সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু তাদের অধিকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে জনগণের অর্থে কেনা অস্ত্র দিয়ে নির্বিচারে গুলি চালানো কোনো সভ্যতার কাজ নয়। পবিত্র রমজান মাসে এতোগুলো মায়ের বুক খালি হলো এটার কি কোনো বিচার হবেনা? পুলিশ দিয়ে গুলী করে কখনও জনগণের নৈতিক আন্দোলনকে দমানো যায় না। শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি মেনে না নিয়ে, এই হত্যাকান্ড পুলিশি রাষ্ট্রের একটি নির্মম বহিঃপ্রকাশ।

নেতৃদ্বয় বাঁশখালীর গন্ডামারায় শ্রমিক হত্যার ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্ত করে দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং নিহতদের পরিবারকে আজীবন আয়ের সমান অর্থ ক্ষতিপূরণ এবং আহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান।