বাংলাদেশকে বিশাল লক্ষ্য দিল দক্ষিণ আফ্রিকা

বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা দুই দলেরই নামের পাশে একটি করে জয়। সিরিজে ১-১-এ সমতা থাকায় বেনোনির তৃতীয় ওয়ানডে তাই অঘোষিত ‘ফাইনাল’। এই ম্যাচ যারা জিতবে সিরিজও তাদের। সিরিজের ভাগ্য নির্ধারণী ওই লড়াইয়ে জোড়া সেঞ্চুরিতে ৩১৬ রানের পাহাড়ই গড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েরা।

টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক লরা উলভার্ট। তাজমিন ব্রিটসের সঙ্গে ডাবল সেঞ্চুরির উদ্বোধনী জুটি গড়ে স্বাগতিকদের রূপকথার শুরু এনে দিয়ে নিজের সিদ্ধান্তের যথার্থতাও প্রমাণ করেছেন তিনি। উদ্বোধনী জুটিতে তাঁরা দুজন যোগ করেছেন ৪২.১ ওভারে রেকর্ড ২৪৩ রান।

সেঞ্চুরি করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার দুই উদ্বোধনী ব্যাটারই।১৩৪ বলে ১৩টি চার এবং ১টি ছক্কায় ১২৬ রান করে মারুফা আক্তারের বল বোল্ড হয়ে ফেরেন লরা উলভার্ট। অন্যদিকে রিতু মনির শিকার হওয়ার আগে ১২৪ বলে ৮টি চার এবং ২টি ছক্কায় ১১৮ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন তাজমিন ব্রিটস। রেকর্ড জুটি গড়ার পর ৮ রানের ব্যবধানে সাজঘরে ফেরেন তাঁরা।
দুই উদ্বোধনী ব্যাটারের শতরানের পর সুনি লুসের ১৭ বলে ৩৪ রানের ঝড় এবং আনিকে বোশের ১৯ বলে ২৮ রানের ছোট্ট ক্যামিওতে ৩০০ পেরোয় প্রোটিয়াদের স্কোর।

বাংলাদেশের হয়ে রাবেয়া খান ১০ ওভার বোলিং করে ৪৯ রান খরচায় নিয়েছেন ২টি উইকেট। একটি করে শিকার মারুফা আক্তার ও রিতু মনির।

এই সফরের আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় আটটি ওয়ানডে খেলে বাংলাদেশের মেয়েদের জয় ছিল না একটিও। প্রথম ম্যাচে স্বাগতিকদের বিধ্বস্ত করে দীর্ঘদিনের আক্ষেপ ঘুচিয়েছিলেন নিগার সুলতানারা। ওই ম্যাচে প্রোটিয়া মেয়েদের ১৩১ রানে গুঁড়িয়ে দিয়ে ১১৯ রানের বিশাল জয়ে সিরিজে এগিয়ে গিয়েছিল সফরকারীরা।

কিন্তু পরের ম্যাচে ফারজানা হকের সেঞ্চুরির পরও ৮ উইকেটে হেরে যায় বাংলাদেশ। সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ম্যাচেও বড্ড বিবর্ণ পারফরম্যান্স বোলারদের।