বাংলাদেশিদের ‘অন অ্যারাইভাল’ ভিসা দেবে চীন
চীনে যেতে হলে আগাম ভিসা নিতে হবে না বাংলাদেশিদের। বিমানবন্দরেই মিলবে ভিসা।
দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক যোগাযোগ ক্রমেই বেড়ে চলার মধ্যে এমন ‘অনঅ্যারাইভাল’ নামে এই ভিসা দেয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। এতে দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
শুক্রবার সচিবালয়ে দুই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে চীনের জননিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী ঝাও কেঝি এই বিষয়টি জানান। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘চীন বাংলাদেশের সব নাগরিকদের অনঅ্যারাইভাল ভিসা দেয়ার কথা বলে গেছে। আমাদের ট্যুরিস্ট, আমাদের ব্যবসায়ী যদি সময়ের অভাবে ভিসা না নিয়ে যেতে পারেন তাহলে সেখানে গেলে তাদের অনঅ্যারাইভাল ভিসা দেবে।’
এটা চূড়ান্ত হয়েছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘তারা আলাপ করে গেছেন, পরবর্তীতে সময়ে তারা ব্যবস্থা নেবেন বলে আমাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে তারা ঘোষণা দেবেন।’
এ ছাড়া বৈঠকে তিনটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয় বলেও জানান মন্ত্রী।
বর্তমানে বাংলাদেশকে ফ্রি ভিসা ও অন অ্যারাইভাল ভিসা দিচ্ছে ৩৭টি দেশ। এর মধ্যে ১৬টি দেশে ফ্রি ভ্রমণের ভিসা পাচ্ছে বাংলাদেশিরা। আর ২০টি দেশে পাচ্ছেন অন অ্যারাইভাল ভিসার সুবিধা। এছাড়া শ্রীলঙ্কা দিচ্ছে ই-ভ্রমণ ভিসা।
এখন পর্যন্ত বাংলাদেশিরা বলিভিয়া, কম্বোডিয়া, কেপ ভার্দে, কমোরোস, আইভরি কোস্ট, জিবুতি, গিনি বিসাউ, কেনিয়া, মাদাগাস্কার, মালদ্বীপ, মৌরিতানিয়া, মোজাম্বিক, নেপাল, নিকারাগুয়া, সামোয়া, সেইচেলেস, পূর্ব তিমুর, টোগো, ট্যুভ্যালু এবং উগান্ডা ভ্রমণের ক্ষেত্রে অন অ্যারাইভাল ভিসা পায়।
এর বাইরে ভিসা লাগে না বাহামাস, বার্বাডোস, ভুটান, ডোমিনিকা, ফিজি, গাম্বিয়া, গ্রানাডা, হাইতি, ইন্দোনেশিয়া, জ্যামাইকা, লেসোথো, মাইক্রোনেশিয়া, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস, সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড গ্রেনাডিন্স, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো এবং ভানুয়াতু ভ্রমণের ক্ষেত্রে।
শুক্রবার সকাল ১০টায় সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও চীনের জননিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী ও পার্টি কমিটির সম্পাদক ঝাও কেঝির নেতৃত্বে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকটি শুরু হয়।
এর আগে সকাল সাড়ে নয়টায় চীনা মন্ত্রী সচিবালয়ে উপস্থিত হলে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয় চীনের মন্ত্রীকে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রাঙ্গণে অস্থায়ী মঞ্চে দাঁড়িয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) একটি দলের সালাম গ্রহণ করেন ঝাও কেঝি।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও অধীনস্থ সংস্থা প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। চীনের পক্ষে ছিলেন ঝাও কেঝির নেতৃত্বে দেশটির ২৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন