বাংলাদেশিদের কিডনি অপসারণ, গ্রেফতার ভারতীয় চিকিৎসক
বাংলাদেশ ও ভারতে অবৈধভাবে কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট চক্রের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে নয়াদিল্লির ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতালের এক চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে ভারতীয় পুলিশ। ওই চিকিৎসকের নাম বিজয়া কুমারী (৫০)। এছাড়া তিন বাংলাদেশিকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত সপ্তাহে দিল্লি পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।
খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের।
বিজয়া অ্যাপোলো হাসপাতালের একজন জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা এবং কিডনি প্রতিস্থাপন বিষয়ক সার্জন। প্রায় ১৫ বছর আগে জুনিয়র ডাক্তার হিসেবে ওই হাসপাতালে যোগ দেন তিনি।
অ্যাপোলোর পাশাপাশি নয়াদিল্লির নয়ডার ‘যথার্থ’ হাসপাতালের ভিজিটিং কনসালটেন্ট ও সার্জনও ছিলেন বিজয়া। তিনি ‘যথার্থ’ হাসপাতালে অপারেশনের নামে অন্তত ১৫ থেকে ১৬ জন ব্যক্তির কিডনি সরিয়েছেন। কিডনি পাচারকারী দলের সদস্য হিসেবে এসব অপারেশন করেছেন তিনি।
যাদের কিডনি তিনি সরিয়েছেন, তাদের অধিকাংশই বাংলাদেশের নাগরিক। ২০২১ থেকে গত বছর বিভিন্ন সময়ের মধ্যে হয়েছে এসব অপারেশন।
হাসপাতালের অতিরিক্ত মেডিকেল সুপারিটেন্ডেন্ট সুনীল বালিয়ান জানান, বিজয়া যাদের কিডনি অপসারণ করেছেন, তাদের কেউই ওই হাসপাতালের রোগী না।
তিনি আরও জানান, ওই চিকিৎসক ভিজিটিং কনসালটেন্ট হিসেবে রোগী ভর্তির জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বরাবর সুপারিশ করতে পারতেন। যে ১৫-১৬ জন বাংলাদেশির কিডনি তিনি অপারেশন করেছেন, তাদের সবাইকে তার সুপারিশের ভিত্তিতেই ভর্তি করা হয়েছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সক্রিয় এই চক্র মধ্যবর্তী ব্যক্তি বা দালালদের মাধ্যমে দরিদ্র বাংলাদেশিদের অর্থের লোভ দেখিয়ে নয়াদিল্লির আশপাশের কিছু হাসপাতালে নিয়ে আসত। সেসব হাসপাতালে চক্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা বাংলাদেশিদের কিডনি অপসারণ করতেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন