‘বাংলাদেশের ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের কোনও ভবিষ্যৎ নেই’
বাংলাদেশের ক্যাম্পে থাকা ৯ লাখ রোহিঙ্গার কোনও ভবিষ্যৎ নেই বলে মনে করেন রোহিঙ্গা আইনজীবী রাজিয়া সুলতানা। বুধবার তিনি ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেছেন। সম্প্রতি তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সাহসী নারীর পুরস্কার পেয়েছেন। সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেছেন, ক্যাম্পে রোহিঙ্গারা চিড়িয়াখানার মতো বাস করছে। একই সঙ্গে তিনি কার্যকর প্রত্যর্পণ কৌশল গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
রাজিয়া সুলতানা জানান, রোহিঙ্গারা আশাহত হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, তারা যতো সময় ক্যাম্পে থাকবে তাদের অবস্থা আরও খারাপতর হবে।
রাজিয়া সুলতানা বলেন, তারা খাবার পাচ্ছে তা ঠিক। কিন্তু এটাই যথেষ্ট নয়। এটা চিড়িয়াখানার মতো, যেখানে মানুষকে শুধু খাবার এবং বেড়ে ওঠতে দেওয়া হয়। কোনও শিক্ষা নেই। কোনও ভবিষ্যৎ নেই।
রোহিঙ্গা নারী রাজিয়া সুলতানার জন্ম মিয়ানমারে। কিন্তু তার বেড়ে ওঠা বাংলাদেশে। এই বছর যুক্তরাষ্ট্রের আইডব্লিউসিএ পুরস্কারজয়ী ১০ নারীর একজন তিনি। বিশ্বজুড়ে অনন্য সাহসিকতা ও শান্তির পক্ষে প্রচারণার জন্য নারীদের এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
রাজিয়া সুলতানা উইম্যান্স ওয়েলফেয়ার সোসাইটি নামে সংগঠন গড়ে তুলেছেন। ২০১৭ সালে রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা নারীদের পরামর্শ প্রদান করছে এই সংগঠন। ২০১৬ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। পারিবারিক নির্যাতন রোধ ও বাল্যবিবাহ বন্ধে সংগঠনটি স্বেচ্ছাসেবীদের প্রশিক্ষণও দেয়।
নারীদের নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতার তুলে ধরে রাজিয়া বলেন, রোহিঙ্গা নারীদের একটু সুযোগ ও নিরাপত্তা দিন। দেখবেন তারা আপনাকে অবাক করে দেবে। যখন আমি প্রথম কাজ শুরু করি তখন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য মাত্র ৫ জন মেয়েকে খুব কষ্টে রাজি করিয়েছিলাম। এখন আমাদের রয়েছে ৬০ জন স্বেচ্ছাসেবী এবং তারা দারুণ কাজ করছে। তারা আমাকে বাল্যবিবাহ, পারিবারিক নির্যাতন ও পাচারের ঝুঁকির বিষয়ে নিয়মিত অবগত করে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন