বাংলাদেশের গ্যাস তুলে নিচ্ছে মিয়ানমার!
বঙ্গোপসাগর থেকে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার গ্যাস তোলা শুরু করলেও এখনও নিষ্ক্রিয় বাংলাদেশ। এমনকি শুরু করতে পারেনি অনুসন্ধান কাজও। এতে করে বাংলাদেশ গ্যাস হারাতে পারে বলেও শঙ্কা জানিয়েছে বিষেশজ্ঞরা।
বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা নিয়ে ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে বিরোধের কারণে বাংলাদেশ ৩৮ বছর তার সমুদ্রসীমার সম্পদ ভোগ করতে পারেনি। প্রায় তিন দশক বিষয়টি অমীমাংসিত থাকার পর ২০০৯ সালে সরকার আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতে মামলা করে।
২০১২ সালের ১৪ মার্চ সেই মামলার রায়ে বাংলাদেশের সমুদ্র সীমানায় যোগ হয় প্রায় এক লাখ ১১ হাজার বর্গ কিলোমিটার। কিন্তু সীমানা নিষ্পত্তিতে তৃপ্তির ঢেকুর তুললেও পাঁচ বছরেও গ্যাস অনুসন্ধানের কাজ শুরু হয়নি। বিনা খরচে দ্বিমাত্রিক ভূ-কম্পন জরিপও করতে পারেনি বাংলাদেশ।
অপরদিকে বাংলাদেশ সীমানা সংলগ্ন রাখাইন ব্যসিং থেকে গ্যাস তুলছে মিয়ানমার। এতে বাংলাদেশ সিমানার গ্যাস তুলে নেয়ার আশঙ্কা জানিয়েছেন বিষেশজ্ঞারা।
ভূ-তত্ত্ব বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক বদরুল ইমাম জানান- ‘ভূখন্ডে একটা গ্যাস ফিল্ড আছে সালদা নদীতে। যেটার অর্ধেকটা পড়েছে বাংলাদেশে আর বাকি অর্ধেকটা ভারতে। ভারতীয়রা সেখানে অন্তত ৩০টি কূপ থেকে গ্যাস তুলছে। কিন্তু বাংলাদেশের আছে মাত্র দুইটা কূপ। সুতরাং আমরাতো সেই পরিমান গ্যাস পাবো না। অপরদিকে বাংলাদেশ আর মিয়ানমারের যে সিমান্ত নির্ধারণ করা হয়েছে, ওই সিমানাতেই সবথেকে বেশি সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানে মিয়ানমাররা আবিষ্কার করেছে। সেখানে যদি কোন একটা গ্যাস ফিল্ড বর্ডার ক্রস করে সেই গ্যাসটা আমরা না তুললে সব তারা তুলে নিবে। সেক্ষেত্রে আমাদের গ্যাসটা তাদের কাছে চলে গেলো।’
তবে এই শঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী। তিনি জানান- ‘সীমান্তবর্তী এলাকায় মিয়ানমার গ্যাস তুললেও বাংলাদেশের গ্যাস নেয়ার সুযোগ নেই।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন