বাংলাদেশের জাতীয় ফুটবলে ১০ বছরে ২০ কোচ!
২০১০ সালের জানুয়ারিতে আনা হয় সার্বিয়ান কোচ জোরান জর্জেভিচকে। উনি ফ্রেব্রুয়ারিতেই বিদায় হন। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন সাইফুল বারী টিটু। সেপ্টেম্বর থেকে ২০১১ সালের জুন পর্যন্ত বেশ কয়েকমাস কাটিয়ে দেন ক্রোয়েশিয়ান কোচ রবার্ট রুবচিচ। ওই বছর জুনে এসেই বিদায় হন মেসিডোনিয়ান কোচ জর্জ ইভানোভস্কি। ওই মাসেই নতুন কোচ হিসেবে আসেন নিকোলা ইলিয়ভস্কি। টিকে যান ডিসেম্বর পর্যন্ত।
২০১২ সালের শুরু থেকে কোচহীন জাতীয় ফুটবল দল। সেপ্টেম্বরে পুনরায় দায়িত্ব পান সাইফুল বারী টিটু। কাটিয়ে দেন ডিসেম্বর পর্যন্ত। জানুয়ারি ২০১৩ সালে আসেন নেদাল্যান্ডের কোচ লডউইক ডি ক্রুইপ। গত ১০ বছরে তিনিই সম্ভবত বেশি সময় টিকে থাকা কোচ। টিকে যান ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ওই মাসেই নতুন কোচ হিসেবে আসেন ইতালিয়ান ফাবিও লোপেজ। নভেম্বরেই বিদায় নেন তিনি।
২০১৫ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৬ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন দেশিয় কোচ মারুফুল হক। ফেব্রুয়ারিতে আসেন গঞ্জালো সানচেজ মরেনো। মে মাস পর্যন্ত টিকেছিলেন এই স্প্যনিশ কোচ। মে মাসে দায়িত্ব নিয়ে জুন মাসেই বিদায় হন নেদারল্যান্ডসের কোচ লুডউইক ডি ক্রুইফ। ২০১৬ সালের জুনে আসেন টম সেইন্টফিট। এই বেলজিয়ান কোচ টিকে যান অক্টোবর পর্যন্ত। তারপর আবারও কোচহীন বাংলাদেশ।
২০১৭ সালের মে মাসে নতুন কোচ হিসেবে আসেন ইংলিশ-অস্ট্রেলিয়ান অ্যান্ডু ওর্ড। চলতি বছরের এপ্রিলে তিনি যোগ দেন থাইল্যান্ডে ক্লাব এয়ারফোর্স সেন্ট্রাল এফসিতে। একটি জাতীয় দলের দায়িত্ব ছেড়ে অচেনা ক্লাবের দায়িত্ব নেওয়া মানে আমাদের ফুটবলের মান কতটা নীচে বুঝতে পারছেন? চলতি বছরের মে মাসে নতুন কোচ হিসেবে এসেছেন ইংল্যান্ডের জেমি ডে। কতদিন টিকতে পারেন দেখা যাক।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন