তরুণদের ক্ষমতায়নে গ্রামীণফোন ও ইউএনডিপি’র সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এবং গ্রামীণফোন একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে।

এ চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের বিশাল তরুণ জনগোষ্ঠী দক্ষতা বৃদ্ধি ও সম্ভাবনা কাজে লাগানোর মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরাণ্বিত করতে বিভিন্ন প্রোগ্রাম ডিজাইন করতে একসাথে কাজ করবে গ্রামীণফোন ও ইউএনডিপি।

গ্রামীণফোন’র হেড অব এক্সটার্নাল কমিউনিক্যাশন্স মুহাম্মদ হাসান প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশের তরুণ জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নের জন্য তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি, চাকরি, উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগের সুযোগ কাজে লাগাতে এই সমঝোতা স্মারক কোভিড পরবর্তী বিশ্বের প্রাসঙ্গিকতায় স্বাক্ষর করা হয়েছে। এই জনগোষ্ঠীর বৃহৎ অংশ দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে, কোভিড সৃষ্ট সমস্যা সহ বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কারণে তরুণ জনগোষ্ঠীর ভূমিকা রাখার বিষয়টি হুমকির মুখে পড়েছে।

এই এমওইউটি প্রতিষ্ঠানগুলোসহ সরকারি, বেসরকারি এবং উন্নয়ন সংস্থার সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের ‘সবার জন্য অর্থনৈতিক সুযোগ’ রূপকল্প বাস্তবায়ন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করতে অনুকূল পরিবেশ তৈরির জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে সক্ষম করে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করবে।

গ্রামীণফোনের ভারপ্রাপ্ত সিইও এবং চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার ইয়েন্স বেকার ও ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এমওইউ-তে স্বাক্ষর করেন।

অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠান দু’টির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।

এ নিয়ে ইয়েন্স বেকার বলেন, ‘এ এমওইউ বাংলাদেশের তরুণদের জন্য অর্থনৈতিক ও শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে গ্রামীণফোনকে সুযোগ করে দিবে। ইউএনডিপি ও সরকারের অংশীদারদের সাথে সহযোগিতা মাধ্যমে এই ধরনের প্রোগ্রামগুলোর ডিজাইন ও বাস্তবায়ন অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।’

অনুষ্ঠানে সুদীপ্ত মুখার্জি বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতির সাথে বাংলাদেশ মানিয়ে নিচ্ছে। এ অবস্থায় গ্রামীণফোনের সাথে এই ধরণের সহযোগিতামূলক উদ্যোগ বৈশ্বিক মহামারির কারণে হওয়া পরিস্থিতির পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশের তরুণদের সাহায্য করবে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে দ্রুততার সাথে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।’

গত বছর ইউএনডিপি’র গ্রহণ করা কোভিড-১৯ পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি পুনরুদ্ধারে মাল্টি-সেক্টর প্ল্যাটফর্ম চুক্তির ফলাফল হিসেবে এই এমওইউটি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

গ্রামীণফোন লি.
টেলিনর গ্রুপের অঙ্গসংগঠন গ্রামীণফোন ৭৬ মিলিয়ন এরও অধিক গ্রাহক নিয়ে বাংলাদেশের অগ্রণী টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান। ১৯৯৭ সালে যাত্রা শুরু করার পর দেশব্যাপী সর্ববৃহৎ নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে গ্রামীণফোন যার মাধ্যমে দেশের ৯৫ শতাংশ মানুষ সেবা গ্রহণ করতে পারে। ব্র্যান্ড প্রতিজ্ঞা ‘‘চলো বহুদূর’’ এর আওতায় গ্রামীণফোন, গ্রাহকদের জন্য সর্বোত্তম মোবাইল ডাটা, ভয়েস সেবা এবং সবার জন্য ইন্টারনেট প্রদানে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। গ্রামীণফোন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত।