বাংলাদেশের পুলিশ এখন আমেরিকার স্টাইলে আন্দোলন দমন করতে পারে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের পুলিশ এখন আমেরিকান পুলিশের স্টাইলে বা ধরণ অনুসরণ করে আন্দোলন দমন করতে পারে। আমার মনে হয়, সাংবাদিকেরা আমাদের এই ব্যাপারে সমর্থন করবে।
বৃহস্পতিবার গণভবনে থাইল্যান্ড সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বামেরা ৯০ ডিগ্রি ঘুরে গেছে।’
এ সময় তিনি বাম গোষ্ঠীগুলোর কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘তাঁরা আমাকে উৎখাত করবে। তাহলে পরবর্তী সময়ে কে আসবে? সেটা কি ঠিক করতে পেরেছে? কারা আসবে ক্ষমতায়? কে দেশের জন্য কাজ করবে? কাদের তারা ক্ষমতায় আনতে চায়—সেটা স্পষ্ট না। তাই জনগণের কোনো সাড়া পাচ্ছে না।’
বামদের আন্দোলন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাঁরা আন্দোলন করে যাচ্ছে। কেউ ফিউজিটিভ হয়ে বিদেশে বসে, ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ নিয়ে অনলাইনে নির্দেশ দিয়েছে যাচ্ছে। আন্দোলন করে যাচ্ছে। আমরা আন্দোলনে বাধা দিচ্ছি না।’
এ সময় তিনি আন্দোলন নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে বলেন, ‘অবশ্যই আমাদের নতুন পথ তৈরি হয়েছে। আমেরিকার পুলিশের স্টাইলে আন্দোলন মোকাবিলা করি, তারা যেভাবে আন্দোলন থামায়—এটা অনুসরণ করতে পারা যা এবং আমরা সেটা করতে পারি। আমার মনে হয়, আমাদের পুলিশ সেটা অনুসরণ করতে পারে।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আমরা তো ধৈর্য ধরতে বলেছিলাম। ২৮ অক্টোবরের কথা মনে আছে? আমি পুলিশকে ধৈর্য ধরতে বলেছিলাম। সেই কারণে তাদের (পুলিশ) পিটিয়ে হত্যা করেছে বিএনপি। সেই সঙ্গে তাদের হাসপাতালে আক্রমণ, গাড়িতে হামলা হয়েছে। এখন আমাদের পুলিশ আমেরিকার স্টাইলে আন্দোলন দমনে ব্যবস্থা নিতে পারে। আমার মনে হয় সাংবাদিকেরা আমাদের এই ব্যাপারে সমর্থন করবে।’
আমেরিকায় দুই বাংলাদেশি নিহতের ঘটনায় ওই দেশেই আওয়ামী লীগ প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ওখানে আওয়ামী লীগ সোচ্চার। আমেরিকায় প্রতিনিয়ত মানুষ খুন করা হচ্ছে, তাদের দেশে প্রতিনিয়ত মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে—সে দিকেই তাদের নজর দেওয়া উচিত। নিজের ঘর আগে সামলানো উচিত।’
চলমান তাপপ্রবাহ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গরম পড়াটা নতুন কিছু না। এর আগেও হিটস্ট্রোক হয়েছে। সাধারণত বৈশাখ মাসে কালবৈশাখী ঝড় হতো, এবার একটু পিছিয়ে গেছে। যার জন্য প্রচণ্ড গরম। আমাদের দল ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে পানি বিতরণ, নানারকম সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি। মারা যাওয়াটা দুঃখজনক।’
এ সময় তীব্র গরমে সবাইকে সাবধানে চলাফেরার পরামর্শ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সবাইকে চলাফেরা সাবধানে করার জন্য বলেছি। বেশিক্ষণ রোদে না থাকা বা ছায়ায় থাকা, প্রচুর পানি খাওয়া প্রয়োজন। সরকারের পক্ষ থেকেও সচেতনতা সৃষ্টিসহ সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছি। প্রকৃতির সঙ্গে তো কিছু বলার নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই গরমের জন্য হিমালয়ের বরফ গলছে। পানিও আসছে। তিস্তায় দ্বিগুণ পানি আছে এখন। পাশাপাশি সিলেট অঞ্চলের বন্যার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসলে সেটা মোকাবিলা করার সক্ষমতা আমাদের আছে। অবস্থা বুঝে যখন যেটা করার প্রয়োজন সেই প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন