বাংলাদেশের সাফল্য বিশ্বে প্রশংসিত

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলার কার্যক্রমকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোসহ বিশ্বের অনেক দেশের থেকে এগিয়ে আছে। বাংলাদেশের এই সাফল্য উন্নত বিশ্বে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত।

জরবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাব মোকাবেলায় সহায়ক নীতি ও আইনি পরিবেশ নিশ্চিত করার মধ্যদিয়ে এ সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়েছে।

জাতীয় সংসদে উপস্থাপিত ‘জলবায়ু সুরক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে বাজেট প্রতিবেদন ২০১৭-১৮’ থেকে এ কথা জানা গেছে।

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবেলার সাফল্য আগামীতেও বজায় রাখতে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এ খাতে ১৪ হাজার ৬৩৩ কোটি ৬১ লাখ ৬ হাজার টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দের পরিমান হচ্ছে ১৩ হাজার ৭৭৩ কোটি ৮৮ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। অর্থাৎ ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে জলবায়ু খাতে বরাদ্দের পরিমান প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে।

পরিবেশ ও বন মন্ত্রনালয়সহ জলবায়ু সম্পৃক্ত মোট ৬টি মন্ত্রণালয়ের অনুকুলে এ বরাদ্দ রাখা হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবেলায় সরকার তার অঙ্গিকারের প্রতিফলন ঘটিয়ে চলেছে। এ ক্ষেত্রে সরকার যেসব বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহন করেছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে নিজস্ব উৎস থেকে ‘জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ড গঠন’। এ ফান্ডের উদ্দেশ্য হলো, স্বল্প,মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প গ্রহণ করে জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে পরিবেশ-পরিস্থিতিকে খাপ খাইয়ে নেয়া এবং এ থেকে সৃষ্ট সার্বিক খয়ক্ষতির পরিমান হ্রাস করা।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়,বাংলাদেশ সরকার দীর্ঘকাল ধরে উন্নয়ন প্রকল্পের ছকে পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়টিকে প্রতিফলিত করার নীতি অনুসরণ করে আসছে। ইতোমধ্যে পরিবেশ সুরক্ষাসহ বিনিয়োগ কর্মসূচিতে জলবায়ু কার্যক্রম এবং এর অভিঘাত মোকাবেলার জন্য যে ব্যয় হয়,তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার লক্ষ্যে উন্নয়ন প্রকল্পের ছকে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। এ ছাড়াও জলবায়ু সংবেদনশীল মজবুত একটি সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনা কাঠামো সৃষ্টির কথাও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।