বাংলাদেশে আসবে না বলেই চুক্তিতে ‘টালবাহানা’ অস্ট্রেলিয়ার!
বেতন-ভাতা নিয়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) ও অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (এসিএ) মধ্যে চলা যুদ্ধে ‘ইয়েস, নো, ওয়েট’ নামের কাহিনী অনেক হয়েছে। সমস্যা সমাধানের ব্যাপক প্রত্যাশার পরও বুধবার পর্যন্ত দুপক্ষের আলোচনার ফল শূন্য। সীমাহীন সময় ধরে চলা আলোচনার কারণেই সিএ এবং এসিএ’র স্বদিচ্ছা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। প্রশ্নটা খোদ অজি গণমাধ্যমের। তারা বলছে, বাংলাদেশ সফর এড়ানোর জন্যই দুপক্ষ চুক্তির বিষয়টি ঝুলিয়ে রাখছে নানা অজুহাতে।
অস্ট্রেলিয়া দলের বাংলাদেশ সফর তাই আবারও প্রশ্নের মুখে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ওয়েবসাইটেই খবর ছেপেছে, বাংলাদেশ সফরে না আসার জন্য ভেতরে ভেতরে ‘একজোট’ অস্ট্রেলিয়ানরা। আর সফরে আসবে না বলেই চুক্তিতে কৌশলে টালবাহানা করছে সিএ এবং এসিএ।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার মুখপাত্র বুধবার বলেছেন, ‘এসিএএ’র সাথে আলোচনার অগ্রগতি হচ্ছে। কিন্তু আমরা আলোচনার বিশদ সম্পর্কে মন্তব্য করব না।’
অথচ রোববার গভীর রাত পর্যন্ত ম্যারাথন মিটিংয়ের পর সমস্যা সমাধানের প্রবল প্রত্যাশা জেগেছিল। বুধবার এ নিয়ে একটি ঘোষণা আসারও কথা ছিল। কিন্তু মূল বিষয়গুলির অধিকাংশই মিটমাট হওয়ার পরও বুধবার পর্যন্ত কোনও ঘোষণা দেয়নি সিএ ও এসিএ।
এদিন কোনও ঘোষণা না আসায় অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যমগুলো বলছে, পুরো বিষয়টিই কৌশলে এগোচ্ছে। আদতে ভেতরে ভেতরে আলোচনা অনেকদূর এগিয়েছে। কিন্তু আনুষ্ঠানিকতার পথে হাঁটছে না সিএ এবং এসিএ। তারা অ্যাশেজ পর্যন্ত এভাবেই আলোচনা চালিয়ে যেতে পারে বলেও সূত্রের বরাতে খবর দিচ্ছে অজি গণমাধ্যমগুলো। যার অর্থ করে তারা বলছে, আসলে বাংলাদেশ সফরের ডেডলইন পেরিয়ে যাওয়ার পরই সমঝোতায় পৌঁছাবে তারা। এখন আলোচনার নামে যা চলছে, সেটা এককথায় আইওয়াশ!
অস্ট্রেলীয় গণমাধ্যমগুলোই সোমবার জানিয়েছিল, বোর্ড ও ক্রিকেটাররা অনেক বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন। ক্রিকেটারদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে বোর্ডও। কিন্তু আলোচনার উন্নতির মধ্যে আবার হুমকি ধামকিও অব্যাহত রয়েছে। অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ দাবি না মানলে বাংলাদেশ, ভারত ও অ্যাশেজ সিরিজ বয়কটের হুমকি দিয়েছেন চব্বিশ ঘণ্টা আগেই। মঙ্গলবার স্মিথ পরিষ্কারভাবে বলেছেন, চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশসহ আসন্ন কোনও সফরই হবে না।
আগের দিন অধিনায়ক স্মিথ হুমকি দিলেও বুধবার অবশ্য আশার কথা শুনিয়েছেন সহ-অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। তিনি বলেছেন, বৃহস্পতিবারের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি সাক্ষর হতে পারে, ‘আশা করছি আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চুক্তি হবে। আমরা এ অবস্থা থেকে বের হয়ে ক্রিকেট খেলতে চাই। কারণ এটাই আমাদের কাজ।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন